গোপালপুরে বৈরাণ নদীতে ছোট মনির নৌকা বাইচে হাজারো মানুষের ঢল

খেলা গোপালপুর টাঙ্গাইল

স্টাফ রিপোর্টার ॥
টাঙ্গাইলের গোপালপুরে বৈরাণ নদীতে দুই দিনব্যাপী গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে গোপালপুর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের বৈরাণ নদীতে প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় দিনে ফাইনাল বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির।
ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ দেখতে দুপুর থেকেই বিনোদন পিপাসু হাজারো মানুষের ঢল নামে বৈরাণ নদীর দু’পাড়ে। শেষ দিনে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বৃদ্ধ ও শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ নৌকা বাইচ দেখতে আসেন। কেউ কেউ ছোট কিংবা বড় নৌকা ভাড়া করে আবার কেউ পা পথে পরিবার পরিজন নিয়ে নদীর দু’পাড়ে অবস্থান নেয়। রঙ-বেরঙের বাহারি নৌকা, বাদ্যযন্ত্রসহ সব মিলিয়ে মির্জাপুরের বৈরাণ নদী এলাকায় বসে উৎসবের আমেজ। জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে সুসজ্জিত নৌকা আর রং-বেরঙের বাহারি পোশাক পড়ে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। শেষ দিনে ১০ টি নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। দুই দিনে মোট ২০টি নৌকা অংশ নেয়। এর আগে শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে প্রতিযোগীতার উদ্বোধন করেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, পানির মধ্যে নেমে, নদীর দু’পাড়ে বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নিয়ে প্রতিযোগিতা উপভোগ করছেন অনেকে। নৌকায় ঘুরে পরিবার পরিজনকে নিয়ে বাইচ দেখতে আনন্দে উম্মুখ হয়ে উঠে গ্রামাঞ্চলের মানুষ। আর এ প্রতিযোগিতা উপলক্ষে নদীর পাড়ে বিভিন্ন ধরনের দোকান বসে। ফাইনাল নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় সোনার মদিনা চ্যাম্পিয়ন এবং কোহাকোলা রানার্স আপ হয়। তৃতীয় হয় দিঘুলহাটা নৌকা। পরে সন্ধ্যায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।
আয়োজক কমিটির সভাপতি মেহেদী হাসান জুয়েলের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের সহ-সম্পাদক হিমেলুর রহমান হিমেল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল মোমেন তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম তালুকদার সুরুজ প্রমুখ।
নৌকা বাইচ দেখতে আসা কমলা বেগম বলেন, বর্তমানে গ্রাম বাংলা নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা হারিয়ে যাচ্ছে। এখন আগের মতো নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা দেখা যায় না। নৌকা বাইচ দেখে অনেক ভালো লেগেছে। আরেক দর্শনার্থী মীম আক্তার বলেন, আমি নৌকা বাইচ দেখতে এসেছি। নৌকা বাইচ দেখে অনেক ভালো লেগেছে। প্রতিবছর যেন প্রতিযোগিতা আয়োজন করার জন্য কাছে আহবান জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির বলেন, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ধরে রাখতে ও গ্রামের মানুষদের আনন্দ দিতে এ আয়োজন করা হয়েছে। আগামীতেও এমন নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

 

 

 

১৩৭ Views

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *