
স্টাফ রিপোর্টার, মির্জাপুর ॥
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপুর আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা সরকারের উন্নয়ন চিত্র লিফলেটের মাধ্যমে তুলে ধরে তা বিতরণ করছেন। মনোনয়ন প্রত্যাশীরা সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকা এবং হাটবাজারে জনসাধারণ ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে এই লিফলেট বিতরণ করছেন। এছাড়া শতাধিক নারী কর্মী দিয়ে বাড়ি বাড়ি এই লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, দেশের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের ২৭ জেলার প্রবেশদ্বার মির্জাপুর উপজেলা। এ উপজেলায় একটি পৌরসভা ও ১৪টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বর্তমান সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভ ছাড়াও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মীর শরীফ মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার তাহরীম হোসেন সীমান্ত, মধুমতি ব্যাংকের উদ্যোক্তা পরিচালক ইভিএস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা রাফিউর রহমান খান ইউসুফজাই সানি, মেজর (অব) খন্দকার এ হাফিজ, উপজেলা আওয়ামী সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ লিটন, বানাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য ডা. শাহিনুর রহমান খান শাওন।
তারা প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত উপজেলার মসজিদ, মন্দির, বিভিন্ন সংগঠন, সামাজিক অনুষ্ঠান, দলীয় কর্মসুুচিতে অংশ গ্রহণ করছেন। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সভা সমাবেশে ও সরকারের উন্নয়ন চিত্রের লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন। অন্যদিকে রাফিউর রহমান খান ইউসুফজাই সানি শতাধিক নারী কর্মী দিয়ে উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১৪টি ইউনিয়নের ঘরে ঘরে এই লিফলেট পৌছে দিচ্ছেন এবং আগামী জাতীয় নির্বাচনে ভোট প্রার্থনা করছেন।
আবুল কালাম আজাদ লিটন বলেন, টানা চারবার প্রয়াত একাব্বর হোসেন এ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি মির্জাপুরে ব্যাপক উন্নয়ন কাজ করেছেন। তার সাথে থেকে দীর্ঘদিন আওয়ামী রাজনীতির পাশাপাশি সাধারণ মানুষের পাশে থেকে কাজ করেছি। দল আমাকে মনোনয়ন দিলে দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ তাকে বিজয়ী করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।
রাফিউর রহমান ইউসুফজাই সানি বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মাকান্ড লিফলেটের মাধ্যমে ঘরে ঘরে পৌছে দেয়া হচ্ছে। এছাড়া গণসংযোগ ও সভা সমাবেশের মাধ্যমেও উন্নয়নের বার্তা প্রচার করছি। আগামী নির্বাচনে দল তাকে মনোনীত করলে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে জনগণের ভোটে বিজয়ী হয়ে এ আসনটি জননেত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দিতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।
ব্যারিস্টার তাহরীম হোসেন সীমান্ত বলেন, তার পিতা প্রয়াত একাব্বর হোসেন টানা চারবার এ আসনের সাংসদ ছিলেন। স্কুল-কলেজ-মাদরাসার পাশাপাশি যোগাযোগ ক্ষেত্রেও ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। বর্তমানেও আমার বাবার দেয়া অধিকাংশ উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। সাধারণ মানুষ আমাকে গ্রহণ করেছে। দল আমাকে মনোনীত করলে এ উপজেলার সকল নেতাকর্মী একত্রিত হয়ে আমাকে বিজয়ী নিরলসভাবে করতে কাজ করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন। মীর শরীফ মাাহমুদ বলেন, প্রায় দুুই যুগ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি। ২০২২ সাল থেকে সভাপতির দায়িত্ব পালন করছি। মাঠ পর্যায়ে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে আমার গভীর সম্পর্ক রয়েছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দল আমাকে মনোনয় দিলে দলীয় নেতাকর্মীরা ও এ উপজেলার মানুষ বিপুল ভোটে বিজয়ী করবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।