
স্টাফ রিপোর্টার ॥
টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার একসময়ের অনাবাদি জমিগুলো চাষাবাদের আওতায় এসেছে। কৃষি বিভাগের পরামর্শে তারা এখন বাড়ির আশপাশের পরিত্যাক্ত জায়গা ও জমিতে মরিচ চাষের সাথে সাথী ফসল হিসেবে চাষ করছেন সজিনা পাতা। পারিবারিক চাহিদা মিটিয়ে ফসল বিক্রি করে আর্থিকভাবে সচ্ছল হচ্ছেন কৃষকরা। দেশে বাড়ছে জনসংখ্যা। কমছে ফসলি জমি। মানুষের খাদ্যের চাহিদা নিশ্চিত করতে অনাবাদি জমিগুলো চাষাবাদের আওতায় আনার কোন বিকল্প নেই। এজন্য সরকার অনাবাদি ও পরিত্যক্ত জমিগুলো চাষাবাদে উৎসাহ প্রদান করছেন চাষিদের।
এলাকার কৃষকরা টাঙ্গাইল নিউজকে জানায়, দেলদুয়ার উপজেলার ধলেশ্বরী নদী বেষ্ট্রিত চরাঞ্চলের অনেক এলাকার জমিগুলো মাত্র কয়েক বছর আগেও অনাবাদি পরে থাকতো। এলাকার মানুষগুলোও ছিল দারিদ্রতার মধ্যে। সেই জমিগুলো এখন এসেছে চাষাবাদের আওতায়। পরিত্যাক্ত জায়গাগুলোতেও চাষাবাদ হচ্ছে। এক সময়ের অনাবাদি জমি ও জায়গাগুলোতে ভড়ে উঠেছে বিভিন্ন ফসলে। এবার ২৫ হেক্টর জমিতে মরিচের সাথে সাথী ফসল সজিনা পাতা। এক সময়ের বেকার মানুষগুলো এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন ফসল চাষাবাদে। পারিবারিক চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি উৎপাদিত মরিচ ১২০ থেকে ১৮০ টাকায় প্রতিকেজি বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন তারা। এতে করে দরিদ্র পরিবারগুলো পাচ্ছেন সচ্ছলতার ছোয়া।
দেলদুয়ার উপজেলা কর্মকর্তা কৃষিবিদ শোয়েব মাহমুদ টাঙ্গাইল নিউজকে বলেন, অনাবাদি জমিগুলো চাষাবাদের আওতায় আনতে কাজ করছে কৃষি বিভাগ। সাধারণ ফসল চাষের পাশাপাশি আমদানি নির্ভরতা কমাতে মরিচ ফসলের আবাদ বৃদ্ধি করতে কৃষি বিভাগের পক্ষ হতে কৃষকদের দেয়া হচ্ছে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ। কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ পেয়ে কৃষকরা অধিক আগ্রহের সাথে ফসল উৎপাদন করছেন।