স্বপ্নপূরণে হেলিকপ্টারে সখীপুরে এলেন প্রবাসী আকাশ

টাঙ্গাইল সখিপুর

স্টাফ রিপোর্টার ॥
স্বপ্নপূরণে হেলিকপ্টারে চড়ে নিজ গ্রামে এলেন আল আমিন আকাশ নামের এক প্রবাসী যুবক। শনিবার দুপুরে তিনি টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের শুরীরচালা আবদুল হামিদ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে হেলিকপ্টার নিয়ে নামেন। এর আগে ওই যুবক ইতালি থেকে বিমানে করে হজরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন। তাকে বিমানবন্দরে নিতে যান স্ত্রী পপি আক্তার ও দুই বছর বয়সী মেয়ে আফরা আক্তার। এরপর তারা বাড়ি আসেন হেলিকপ্টারে চড়ে।

আল আমিন আকাশ সখীপুর উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের বড়চালা গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে। কয়েকদিন আগেই এলাকায় খবর ছড়িযে পড়ে হেলিকপ্টার নিয়ে আকাশ গ্রামে আসবেন। শনিবার সকাল থেকেই তা দেখতে ভিড় জমান শত শত উৎসুক নারী-পুরুষ। দুপুর পৌনে দুইটায় উপজেলার শুরীরচালা আব্দুল হামিদ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে হেলিকপ্টারটি নামেন। এ সময় প্রবাসী আকাশকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান তার বন্ধু, শুভাকাঙ্খী ও এলাকাবাসী।

কাকড়াজান ইউনিয়ন পরিষদের স্থানীয় ইউপি সদস্য রুহুল আমিন জানান, আকাশের বাবা তোতা মিয়া দীর্ঘদিন ধরে স্ত্রী নিয়ে ইতালি থাকেন। গত পাঁচ বছর আগে আকাশও ইতালি চলে যান। শনিবার সকাল ৯টার দিকে ঢাকায় পৌঁছান। তার স্ত্রী পপি আক্তার তাদের দুই বছরের মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে বিমানবন্দরে স্বামীকে শুভেচ্ছা জানান। আকাশ আগে থেকেই অনলাইনের মাধ্যমে ৭০ হাজার টাকা দিয়ে হেলিকপ্টার ভাড়া করেছিলেন। বেলা দেড়টার সময় ঢাকার তেজগাঁও থেকে স্ত্রী-সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে হেলিকপ্টারে উঠে বাড়ির দিকে রওনা দেন আকাশ। মাত্র ১৭ মিনিটেই বাড়ি ফিরেন তারা।

আল আমিন আকাশ বলেন, আমার অনেক দিনের স্বপ্ন ছিল স্ত্রী-কন্যাকে সঙ্গে নিয়ে আমি হেলিকপ্টারে চড়ে বাড়ি আসবো। আমার স্বপ্নপূরণেই হেলিকপ্টারে করে বাড়ি আসলাম। আমি দুই মাস বাড়িতে থাকব। এরপর রেমিট্যান্স যোদ্ধা হিসেবে আবার প্রবাসে পাড়ি দেব।
শুরীরচালা আব্দুল হামিদ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কফিল উদ্দিন বলেন, শুরীরচালা গ্রামবাসী হেলিকপ্টার নামার দৃশ্য দেখতে আগে থেকেই স্কুল মাঠে এসে ভিড় করেন।
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ শাহিনুর রহমান জানান, হেলিকপ্টার দেখার জন্য উৎসুক জনতাকে সামাল দিতে ও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শুরীরচালা গ্রামে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল।

৩৪৭ Views

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *