
স্টাফ রিপোর্টার ॥
টাঙ্গাইল শহরে অবস্থিত দয়াল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক হসপিটালে ভুল চিকিৎসায় জুলি আক্তার নামে এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এদিকে মৃত্যুর ঘটনাটি ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ধামাচাপা দিতে লাখ টাকায় দফারফা করার বিষয়টি ফাঁস হয়েছে। মৃত জুলি আক্তারের বাড়ি টাঙ্গাইল শহরের কাগমারি ফকিরপাড়া এলাকায়। সে ইয়াসিন আলীর স্ত্রী।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, জুলি আক্তার সাত মাসের অন্তসত্তা ছিলেন। গত সপ্তাহে টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গেলে সেখানে গাইনী চিকিৎসক সাজিয়া আফরিন জানান, তার গর্ভের শিশুটি মারা গেছে। পরে তাকে শহরের টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের পাশেই অবস্থিত দয়াল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক হাসপাতালে ভর্তি হতে বলেন। গত শনিবার (৭ অক্টোবর) জুলিয়াকে দয়াল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
গাইনী চিকিৎসক সাজিয়া আফরিন জানায়, অস্ত্রপাচারের মাধ্যমে প্রসব করলে ৩৫ হাজার টাকা ও নরমাল করলে ২০ হাজার টাকার কথা বলেন। জুলিয়ার পরিবারের লোকজন অস্ত্রপাচারের মাধ্যমে প্রসব করাতে বলেন। রোববার (৮ অক্টোবর) সাজিয়া আফরিন ডিএনসি করানোর সময় ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় মারা যাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন মৃত জুলিয়ার পরিবার। বিষয়টি পরিবার যাতে বুঝতে না পারে সেজন্য তাকে সোমবার (৯ অক্টোবর) মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে নিতে বলেন সাজিয়া আফরিন। কিন্তু রাতেই ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। এদিকে মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) সকালে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে নিহতের পরিবারকে এক লাখ টাকা দিয়ে দফারফা করার বিষয়টি ফাঁস হয়ে যায়।
নিহত জুলি আক্তারের স্বামী ইয়াসিন আলী বলেন, ডাক্তারের ভূল চিকিৎসার কারণেই আমার স্ত্রী মারা গেছে। আমি টাকা চাই না। আমার স্ত্রী হত্যার বিচার চাই।
ইয়াসিনের বাবা মজিবর রহমান বলেন, ক্লিনিক মালিক পক্ষ আমাদের এক লাখ টাকা দিয়েছে।
এ ব্যাপারে দয়াল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক হসপিটালের মালিক শরিফুল ইসলাম বলেন, আমি এ বিষয়ে কথা বলতে পারব না। এক লাখ টাকা দিয়ে দিছি, তাদের সাথে সমঝোতা হয়ে গেছে।