
নুর আলম, গোপালপুর ॥
টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার খোলা বাজারে ও চায়ের দোকানগুলোর পাশে অবাধে বিক্রি হচ্ছে অকটেন ও পেট্রোল। চায়ের দোকানে পাশে এভাবে দাহ্য পদার্থ রাখায় যেকোন মুহূর্তে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। মানুষের প্রাণহানির মতো ঘটনাও ঘটতে পারে। অথচ স্থানীয় প্রশাসন এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না।
সরেজমিনে উপজেলার চাতুটিয়া মোড়, ঝাওয়াইল বাজার, মির্জাপুর বাজার, হেমনগর বাজারসহ বিভিন্ন বাজার এলাকায় ও পৌর শহরের মৃধাবাড়ী মোড়, থানা ব্রীজের পশ্চিম পাশে, ভুঞারপাড়ার বিভিন্ন মুদি দোকানে এবং নবগ্রাম মোড়ে চায়ের দোকানে পাশেই খোলা বাজারে অবাধে বিক্রি হচ্ছে দাহ্য পদার্থ, অকটেন ও পেট্রোল বিক্রি করতে দেখা গেছে। বিক্রেতারা দাহ্য পদার্থ বিক্রির আইন সম্পর্কে অবগত নয় বলে জানিয়েছেন। এছাড়া খোলা বাজারে ও চায়ের দোকানের পাশে এভাবে দাহ্য পদার্থ রাখায় যেকোন মুহূর্তে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। নগদা শিমলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান সোহেল টাঙ্গাইল নিউজকে বলেন, খোলা বাজারে লাইসেন্স ছাড়া এভাবে দাহ্য পদার্থ বিক্রি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। চায়ের দোকানের পাশে দাহ্য পদার্থ বিক্রি করায় বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এতে যেকোন মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
দাহ্য পদার্থ বিক্রেতা বুলবুল আহমেদ টাঙ্গাইল নিউজকে জানান, তিনি মধুপুর ফিলিং স্টেশন থেকে পেট্রোল এনে লিটারে ৫/৭ টাকা লাভে বিক্রি করেন। খোলা বাজারে পেট্রোল বিক্রি নিষেধ থাকলেও কিছু লাভের জন্য বিক্রি করেন তিনি। ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন টাঙ্গাইল নিউজকে জানান, প্রায় দশ বছর ধরে বোতলে করে পেট্রোল ও অকটেল বিক্রি করেন। বিক্রির অনুমোদন না থাকলেও নিরাপত্তার জন্য ফায়ার এক্সটিংগুইশার রাখেন তিনি। নবগ্রাম বাজার বনিক সমিতির সম্পাদক মোন্নাফ হোসেন টাঙ্গাইল নিউজকে বলেন, চায়ের দোকানের পাশে এভাবে পেট্রোল বিক্রি করা অবৈধ। দূর থেকে পেট্রোল আনতে হয় তাই আমরা কিছু বলিনি। আপনারা বললেন দেখি আমরা কি করতে পারি।
টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ওয়্যারহাউজ পরিদর্শক (গোপালপুর দায়িত্ব) সিরাজুল ইসলাম টাঙ্গাইল নিউজকে বলেন, এভাবে দাহ্য পদার্থ বিক্রির কোন অনুমোদন নাই। এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
এ বিষয়ে গোপালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসফিয়া সিরাত টাঙ্গাইল নিউজকে বলেন, অনুমতি ছাড়া ঝুঁকি তৈরি করে খোলা বাজারে কেউ দাহ্য পদার্থ বিক্রি করতে পারবে না। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।