
স্টাফ রিপোর্টার ॥
টাঙ্গাইল জেলার মাটি ও আবহাওয়া আখ চাষের জন্য উপযোগী। বিগত মৌসুমে অধিক লাভবান ও বর্তমানে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় চলতি মৌসুমে টাঙ্গাইল জেলায় বিভিন্ন জাতের আখের ফলন ভালো হয়েছে। দাম ভালো পাওয়ায় লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। কৃষকরা এখন ব্যস্ত আখ কাটা ও বিক্রিতে। আখ চাষে কৃষকদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।
জানা যায়, টাঙ্গাইল জেলায় চলতি মৌসুমে বিভিন্ন জাতের আখের বাম্পার ফলন হয়েছে এবং কৃষকরা ন্যায্য মূল্য উচ্ছাস প্রকাশ করেছেন। জেলার প্রতিটি উপজেলাতেই কমবেশি আখের আবাদ হয়েছে। চরাঞ্চল ও পাহাড়ী এলাকার আবাদি ও অনাবাদি জমিতে কৃষকরা বাড়তি লাভের আশায় ব্যাপকভাবে আখের চাষ করেছেন। এই ফসল আবাদ করলে ৭ থেকে ৮ মাসের মধ্যে বাজারজাত করা যায়। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আখের ফলন ভালো হয়েছে। টাঙ্গাইল জেলাটি নদ-নদী ও পাহাড় দিয়ে বেষ্টিত থাকায় যে কোনও ফসল চাষাবাদের জন্য এখানের মাটি বেশ উপযোগী। জেলার বিভিন্ন এলাকা দিয়ে অসংখ্য খাল ও নদী বয়ে গেছে। এই অঞ্চলে নদী বিধৌত পলিমাটি জমিকে উর্বর করছে।
আখ কৃষকরা টাঙ্গাইল নিউজকে বলেন, আখ আবাদ করার পর একটু পরিচর্যা করলেই ভালো ফলন পাওয়া যায়। আখ চাষ করলে অল্প খরচে বেশি লাভবান হওয়া যায়। আখের দাম বেশী হওয়ায় কৃষকরা খুশী। তাই জেলার কৃষকরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন আখ কাটা ও বিক্রিতে। পাইকাররা জমি থেকেই আখ কিনে নিয়ে যায়। এ কারনে কৃষকদের কষ্ট করে আখ বিক্রির জন্য বাজারে নিয়ে যেতে হয় না। কম পরিশ্রম ও কম খরচে বেশি লাভ পাওয়ায় আখ চাষে ঝুঁকছেন টাঙ্গাইলের কৃষকরা। তবে তারা আরো বেশী সরকারী সহায়তা চাচ্ছেন। কৃষকরা টাঙ্গাইল নিউজকে আরও বলেন, টাঙ্গাইল জেলা বা এর আশপাশে চিনিকল না থাকায় এখানে উৎপাদিত আখ শুধু চিবিয়ে খাওয়া হয়। এ অঞ্চলে যদি চিনিকল নির্মান করা যায়। তাহলে আখের চাষ বৃদ্ধি পাবে আরো কয়েকগুন।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক নূরুল ইসলাম টাঙ্গাইল নিউজকে বলেন, এ বছর জেলায় ৪৬৩ হেক্টর জমিতে আখের চাষ করা হয়েছে। আখের চাষ ও ফলন বৃদ্ধি করতে কৃষি বিভাগ কৃষকদের প্রয়োজনীয় সকল সহায়তা করে যাচ্ছে।