নুর আলম, গোপালপুর ॥
টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার নগদা শিমলা ইউনিয়নের দক্ষিণ বিলডগা গ্রামের মৃত ইদ্রিস খানের ছেলে হায়দার আলী খানের প্রথম স্ত্রী তার স্বামীর গোপনাঙ্গ কেটে গোপনাঙ্গসহ পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) দিবাগত রাতে ইদ্রিস খানের নিজ বাড়িতে এই ঘটনা ঘটেছে।
হায়দার আলী খানের চাচা হাতেম আলী খান টাঙ্গাইল নিউজকে জানান, প্রতিবন্ধী হায়দার আলী খান রেলওয়েতে চাকরি নিয়ে জয়দেবপুরে কর্মরত ছিলেন। এর আগে তিনি বেলুয়ার একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা ও মির্জাপুর ইউনিয়নের বড়শিলায় একটি মসজিদে ইমামতি করতেন। দশ বছর আগে বেলুয়া গ্রামের আব্দুল বাসেদের কন্যা হামিদা বেগমের সাথে বিয়ে হয়। পরে হায়দার আলী খান বড়শিলা গ্রামের কল্পনাকে বিয়ে করলেও কল্পনা তার বাপের বাড়িতেই থাকতেন। উভয়পক্ষেই একটি করে ছেলে সন্তান রয়েছে। উভয়পক্ষকে সমানভাবে ভরনপোষন করতেন। কিন্তু শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে পিংনা হাট থেকে একটি গরু কিনে বাড়িতে আসলে প্রথম স্ত্রী হামিদার সাথে বাকবিতন্ডা হয় বলে জানায় হায়দার ও হামিদা দম্পতির একমাত্র সন্তান হাফিজুর (৮)। হাফিজুর সকালে ঘুম থেকে উঠে পুরো ঘরে রক্ত পড়ে থাকতে দেখে ও নতুন ব্লেড পরে থাকায় দেখে ডাক চিৎকার দেয়। এসময় প্রতিবেশীরা হায়দারকে উদ্ধার করে গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে।
ঘটনার পর রাতেই সবার অজান্তে হামিদা বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় বলে প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন। প্রতিবেশীরা টাঙ্গাইল নিউজকে আরও জানান, রাতে কোন সাড়াশব্দ বা ডাক চিৎকারের শুনা যায়নি। রাতের খাবারের সাথে চেতনানাশক খাইয়ে দেয়ার আশঙ্কা করছেন হায়দার আলীর মা মলিদা বেগম। এ ঘটনায় এলাকাবাসী হামিদার উপযুক্ত বিচার দাবি করেছেন। আহতের সাথে থাকা খাদেম আলী মুঠোফোনে টাঙ্গাইল নিউজকে জানান, ময়মনসিংহ আনার পর ডাক্তাররা গোপনাঙ্গ খুঁজে আনার পরামর্শ দিয়েছে। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে খুঁজে আনতে পারলে এটা পুনঃ স্থাপন করা যাবে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আলিম আল রাজি টাঙ্গাইল নিউজকে বলেন, রাতভর রক্তক্ষরণের কারনে রোগীর অবস্থা গুরুতর হয়ে যায়। তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। গোপনাঙ্গ সম্পুর্ন কেটে ফেলা হয়েছে বলে জানান তিনি।
গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল মোর্শেদ টাঙ্গাইল নিউজকে বলেন, এই বিষয়ে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। হামিদার মা ও ভাইকে ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।