স্টাফ রিপোর্টার ॥
বিজয়া দশমীর বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দুর্গোৎসবের সমাপ্তি ঘটে মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর)। টাঙ্গাইল জেলার ১২টি উপজেলায় এবার ১২৮৪ টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়। পূজারীরা তাদের ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী মা দূর্গার বিসর্জন দেন। জেলা সদর, মির্জাপুর, নাগরপুর, ভূঞাপুর, মধুপুরে মহাসমারোহে বিসর্জন অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় জেলার কালিহাতী উপজেলার নারান্দিয়ায় খেলার মাঠে বসেছে তিন দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী বিজয়া দশমীর মেলা। মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) থেকে শুরু হয়ে চলবে আগামী বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) পর্যন্ত।
সরেজমিনে মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে দেখা যায়, শত বছরের পুরনো এ মেলায় কমপক্ষে ১০ টি মণ্ডপের দুর্গা প্রতিমা দর্শনার্থীদের জন্য উপস্থাপন করা হয়েছে। আশেপাশের কয়েকটি উপজেলার হাজারো দর্শনার্থী এখানে আসেন প্রতিমা দেখতে। হিন্দু নারীরা সিঁদুর, ধান, দুর্বা ও আলোকবাতি দিয়ে প্রতিমাগুলোয় ভক্তি প্রদর্শন করছেন। উলুধ্বনি আর ঢাকঢোলের বাজনার তালে তালে চলে নারী পুরুষদের চলে আরতি প্রদর্শন। পরে নারান্দিয়া, নগরবাড়ী, লক্ষ্মী নারান্দিয়া, দৌলতপুর রায়বাড়ি, মোদকবাড়ী, ঝৃষিপাড়ার প্রতিমাগুলো মাঠের পাশে লৌহজং নদীর জলে ডুবানো হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কালিহাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোজহারুল ইসলাম তালুকদার, জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক আবু নাসের, নারান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদ তালুকদার, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হুরমুজ আলী তালুকদার, উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজান সরকার, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক, ইউনিয়ন পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক গুপিনাথ মোদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক মহাদেব সরকার প্রমুখ।
এছাড়া এই মেলা উপলক্ষে মাঠে আসবাবপত্র, বাহারি খাবার, খেলনা, মাটির হাড়িপাতিল বিক্রির অসংখ্য দোকানপাট বসেছে। তিন দিনে কোটি টাকার কেনাবেচা হয়ে থাকে।
প্রতিমা বিসর্জনে অনুষ্ঠানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে মোতায়েন করা হয় পুলিশ ও গ্রাম পুলিশের সদস্য।