নুর আলম, গোপালপুর ॥
টাঙ্গাইলের গোপালপুরে ‘বিয়ে না করলে চাকরি থাকবে না’ নোটিশ দেয়া সেই সাজানপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলামের সকল দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত কর্মকর্তার তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। তাই তাঁকে জনবল কাঠামো এবং এমপিও নীতিমালা ২০২১ এর ১৮.১ (খ) ধারা মোতাবেক কেন তাঁর বেতন-ভাতা বন্ধ/স্থগিত করা হবে না তার জবাব পত্র জারীর ৭ কর্মদিবসের মধ্যে প্রদানের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এতে ব্যাংক লেনদেনের ক্ষেত্রে আর্থিক অনিয়ম, স্কুলের আয়ের সমস্ত টাকা ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবে জমা রাখা এবং নিজের সমস্ত বিল পাশ করা, অসদাচরণ, ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন, বিজ্ঞান শিক্ষা ভবন মেরামত এবং বিনা রশিদে টাকা উত্তোলন ইত্যাদি বিষয়ে অনিয়ম করছেন মর্মে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের শিক্ষা কর্মকর্তা (মা-২) তরিকুল ইসলাম সাক্ষরিত এক নোটিশে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
জানা যায়, প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতিসহ দুর্নীতির একাধিক অভিযোগ উঠে। তদন্ত কমিটির সামনে এর সাক্ষ্য দেন হিন্দু ধর্ম বিষয়ক শিক্ষক রনি প্রতাপ পালসহ স্কুলের কয়েকজন শিক্ষক। এতে প্রধান শিক্ষক রেগে যান। তাই, গত (২৬ জুলাই) ৩০ কর্ম দিবসের মধ্যে রনিকে বিয়ের নোটিস দেন প্রধান শিক্ষক। অন্যথায় চাকরিচ্যুতির কথা বলা হয়। গত (২৩ আগস্ট) অফিসে ডেকে নিয়ে সব শিক্ষকের সামনে রনিকে প্রাণনাশের হুমকি দেন। রনি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরদিন দুর্নীতি ও অসদাচরণের অভিযোগে প্রধান শিক্ষকের অপসারণ চেয়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী স্কুল প্রাঙ্গণে মানববন্ধন করেন। এ খবর প্রচারের পর বিষয়টি নজরে আসে শিক্ষা অধিদপ্তরের।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের নির্দেশে টাঙ্গাইল জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয় দুই দফা তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পান। গত (৩০ আগস্ট) তদন্ত প্রতিবেদন কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেন। প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম বলেন, এ ধরণের কোনো চিঠি আমি এখনো পাইনি। যদি পাই তবে চিঠি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।