জোয়াহের এমপির বাসা থেকে স্বর্ণালংকার চুরির ঘটনায় দুই গৃহকর্মী কারাগারে

আইন আদালত টাঙ্গাইল টাঙ্গাইল সদর লিড নিউজ

স্টাফ রিপোর্টার ॥
টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসনের সংসদ সদস্য ও টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহেরের টাঙ্গাইল বাসা থেকে পৌঁনে ১৮ লাখ টাকার স্বর্ণালংকার চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই বাড়ির দুই নারী গৃহকর্মীকে আটকের পর রিমান্ড শেষে শনিবার (২৮ অক্টোবর) আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) ভোরে ওই দুই নারী গৃহকর্মী ফুল খাতুন (৩৫) ও ফরিদা বেগমকে (৫০) পুলিশ শহরের কাগমারা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।

ফুল খাতুন টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাহির শিমুল গ্রামের তুলা মিয়ার স্ত্রী এবং ফরিদা বেগম চৌধুরী মালঞ্চ গ্রামের মোতালেব মিয়ার স্ত্রী। তারা দুইজনেই শহরের কাগমারা এলাকায় পৃথক দুটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন। শহরের বিভিন্ন বাসা বাড়িতে কাজ করেন।
শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) গ্রেপ্তারকৃত দুইজনকে আদালতে হাজির করে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিন করে রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানী শেষে বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নওরিন করিম তাদের দুইদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা টাঙ্গাইল সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রকিবুল ইসলাম জানান, রিমান্ডে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তারা চুরির সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেননি। তাদের দুই দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে পাঠানো হয়।
টাঙ্গাইলের আদালত পরিদর্শক তানবীর আহম্মদ জানান, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইসমত আরার আদালতে দুইজনকে হাজির করা হয়। পরে আদালত তাদের জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে গত বুধবার (২৫ অক্টোবর) টাঙ্গাইল সদর থানায় সংসদ সদস্য জোয়াহেরুল ইসলামের স্ত্রী রওশন আরা খান বাদি হয়ে একটি চুরি মামলা দায়ের করেন। এতে তিনি অভিযোগ করেন, শহরের আকুর টাকুর পাড়ার ছোট কালীবাড়ী এলাকায় তাদের নিজস্ব বাসার দ্বিতীয় তলায় তার রুমের ভেতর একটি ব্যাগের মধ্যে রাখা ১৭ ভরি ওজনের বিভিন্ন স্বর্ণালংকার ও একটি হীরার আংটি রক্ষিত ছিল। মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে স্বর্ণালংকার রক্ষিত ওই ব্যাগটি খোঁজাখুঁজি করে নির্দিষ্ট স্থানে পাওয়া যায় নাই। ব্যাগটি খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে তিনি জানতে পারেন, তার গৃহকর্মী ফুল খাতুন ও ফরিদা বেগম কাজ শেষে কাউকে কিছু না বলে বাসা থেকে চলে যান। মামলায় তিনি (রওশন আরা খান) উল্লেখ করেন, তার ধারণা ওই গৃহকর্মীরা ওই ব্যাগটি চুরি করে নিয়ে গেছে।

মামলায় উল্লেখকৃত চুরি যাওয়া গহনার মধ্যে রয়েছে- ১০টি স্বর্ণের চুড়ি যার ওজন ১০ ভরি, মূল্য ১০ লাখ টাকা। ৩ ভরি আট আনা ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন, যার মূল্য সাড়ে তিন লাখ টাকা। ২ ভরি ১০ আনা ওজনের স্বর্ণের হাতঘড়ি, মূল্য দুই লাখ ৬২ হাজার ৫০০ টাকা। ১৪ আনা ওজনের স্বর্ণের আংটি, মূল্য সাড়ে ৮৭ হাজার টাকা এবং ১টি হীরার আংটি, মূল্য ৭৬ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে চুরি যাওয়া অলংকারগুলোর মূল্য ১৭ লাখ ৭৬ হাজার টাকা বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

১৪৭ Views

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *