
স্টাফ রিপোর্টার ॥
মহান মুক্তিযুদ্ধে টাঙ্গাইলের সংগঠক সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সাবেক সদস্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকী বলেছেন, বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলন মানুষের কল্যাণের আন্দোলন নয়- তাদের আন্দোলন দেশকে পুণরায় পাকিস্তান বানানোর পাঁয়তারার অংশ। বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলনের বিরুদ্ধে কালিহাতীর মানুষের সমর্থন চেয়ে তিনি বলেন, তাদের ধ্বংসাত্মক আন্দোলনের বিরুদ্ধে আমি লড়াইয়ে নেমেছি- কালিহাতীবাসীর সাহায্য চাই-সমর্থন চাই। বর্তমান প্রেক্ষাপটে তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করে প্রাজ্ঞ পার্লামেণ্টারিয়ান লতিফ সিদ্দিকী বলেন, আপনারা যদি সমর্থন করেন- তাহলে আপনাদেরকে স্পষ্ট করে বলি- নৌকা বলুন, ধানের শীষ বলুন, লাঙ্গল বলুন, গামছা বলুন, কাস্তে-হাতুড়ি বলুন- যা কিছু আছে সবকিছুকে ট্রাকে তুলে আগামিতে জনগণের বিজয় মিছিল করবো ইন্শাল্লাহ।
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) বিকালে টাঙ্গাইলের কালিহাতী আরএস সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত জনসভায় তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখছিলেন।
এ সময় তিনি জয় বাংলা-জয় বঙ্গবন্ধু, জয় মহান মুক্তিযুদ্ধ, জয় শেখ হাসিনা, জয় বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম, শেখ হাসিনা-কাদের সিদ্দিকী এগিয়ে চল, আমরা আছি তোমার সাথে স্লোগান দিয়ে বলেন- আওয়ামী লীগ ১৪ দলের সঙ্গে জোট করতে পারে। আমি মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর, বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদকারী। আমি আমার ভাইয়ের সাথে জোটবদ্ধ হতে পারিনা। আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কর্মী, বঙ্গবন্ধুর পায়ের তলায় বসে বাঙালি জাতীয়তাবাদের আন্দোলন করেছি। আপনাদের ভালবাসায় ’৭০- এর নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে মহান স্বাধীনতাযুদ্ধকে সংগঠিত করতে পেরেছি। ২০১৮ সালে যখন আমার গাড়ি ভাঙা হয় তখন চলে গিয়েছিলাম। কেউ কেউ প্রচার করছে আমি গামছা নিয়ে এসেছি। বঙ্গবন্ধুকে যারা ভালবাসে আমি তাদেরকে ভালবাসি, তাদের সাথে একত্রে চলতে আমার কোনও সমস্যা নাই। আমি কোনো দলে যোগ দেব না- কিন্তু কাদের সিদ্দিকীর সঙ্গে থাকবো।
কালিহাতী উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ আয়োজিত ওই জনসভার প্রধান বক্তা ছিলেন- প্রষ্ঠিাতা সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীরোত্তম। সংগঠনের উপজেলা শাখার সভাপতি লুৎফর রহমান সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী (কায়সার চৌধুরী), সাবেক এমপি লায়লা সিদ্দিকী, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর সহধর্মিনী নাসরিন সিদ্দিকী, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার, সাংস্কৃতিক সম্পাদক সঙ্গীত শিল্পী নকুল কুমার বিশ্বাস, সদস্য শামীম আল মনসুর আজাদ সিদ্দিকী প্রমুখ।
এ সময় হাজার হাজার জনতার ঢলে জনসভাস্থল কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে পাশের আঞ্চলিক মহাসড়ক ও সড়কে ছাপিয়ে কালিহাতী বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত বিস্তৃত হয়।