স্টাফ রিপোর্টার ॥
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার দৈবগাতি গ্রামের মৃত লিয়াকত আলী তালুকদারের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম তালুকদার ও তার ভাই ইছা তালুকদারের বাড়ি-ঘর কুপিয়ে স্বর্ণালঙ্কার ও টাকা লুটে নেওয়ার অভিযোগে দ্রুত বিচার আইনে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) জাহাঙ্গীর আলম তালুকদার বাদি হয়ে টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (দ্রুত বিচার) আদালতে ওই মামলা দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগে জানা যায়, গত সোমবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কালিহাতী উপজেলার বল্লভবাড়ি গ্রামের মৃত আবেদ আলী আকন্দের ছেলে আ. হাই আকন্দ(৫৫), তার ছোট ভাই আ. জলিল আকন্দ(৫২), বিনোদ লুহুরিয়া গ্রামের মৃত ইনছের আলীর ছেলে আবু বকর(৫০), ধোপগাতি গ্রামের মৃত কিতাব আলী আকন্দের ছেলে আ. মাজেদ আকন্দ (৫৫), তার ছেলে বেল্লাল হোসেন আকন্দ(২১), হবি আকন্দের ছেলে শাহাদত আকন্দ(২১), মৃত ছাত্তার আকন্দের ছেলে মারুফ আকন্দ(৪৩), বেলটিয়া গ্রামের জলিল আকন্দের ছেলে বাবুল আকন্দ(২৫) সহ ১৫-২০ ব্যক্তি চাইনিজ কুড়াল, দা, শাবল, চাপাতি, রামদা, শাবল, হ্যামার ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে জাহাঙ্গীর আলম তালুকদার ও তার ভাই ইছা তালুকদারের বাড়ি-ঘরে হামলা করে। তারা গেট ভেঙে বাড়ির ভেতর প্রবেশ করে দুইটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। এ সময় বাড়িতে থাকা স্থানীয় আ. হাকিমের স্ত্রী আয়েশাকে মারপিট করে আহত করে। পরে দুইটি ঘরের দরজা ভেঙে প্রবেশ করে ঘরের আলমারী, সোফা, ডাইনিং টেবিল, আলনা, কাঠের আলমারী সহ সকল আসবাবপত্র ভেঙে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা লুটে নেয়। দরজা ও গেট ভাঙার শব্দ এবং হামলাকারীদের হই-হুল্লুরে এলাকায় ত্রাসের সৃষ্টি হয়। হামলাকারীরা সব মিলিয়ে দুই ভাইয়ের প্রায় ২৫ লাখ ৪০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে টাঙ্গাইলের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছে।
মামলার বাদি জাহাঙ্গীর আলম তালুকদার জানান, মামলার ১ নম্বর অভিযুক্ত ব্যক্তির নির্দেশে হামলাকারীরা বাড়ি-ঘর ভেঙে লুটপাট করেছে। তারা সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ২৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করেছে। তিনি ন্যায় বিচার দাবি করেন।
গোহালিয়াবাড়ী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হযরত আলী তালুকদার জানান, তার ভাতিজা জাহাঙ্গীর আলম তালুকদার ও তার ভাই ইছা তালুকদারের বাড়িতে হামলা
চালিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে লুটপাট করা হয়েছে। এ ঘটনা এলাকার প্রায় সব মানুষই জানে। অভিযুক্তরা স্থানীয় পর্যায়ে প্রভাবশালী হওয়ায় থানা পুলিশ মামলা নেয়নি। তাই ন্যায় বিচার পেতে বাধ্য হয়ে জাহাঙ্গীর আলম তালুকদার আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।