স্টাফ রিপোর্টার ॥
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে প্রখ্যাত সমাজসেবক, শিক্ষানুরাগী, স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত মনীষী, কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা দানবীর রণদা প্রসাদ সাহার ১২৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর জীবন ও কর্ম শীর্ষক আলোচনা সভা হয়েছে। শনিবার (১৮ নভেম্বর) সকালে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট ভারতেশ্বরী হোমসের পিপিএম হলে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
কুমুদিনী হাসপাতালের পরিচালক ডা. প্রদীপ কুমার রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে আলোচনা করেন বাংলাদেশ শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অতিরিক্ত সচিব অসীম কুমার দে। অন্যদের মধ্যে আলোচনা করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব আতিউর রহমান, কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্টের পরিচালক ভাষাসৈনিক প্রতিভা মুৎসুদ্দি, কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. আব্দুল হালিম, কুমুদিনী নার্সিং কলেজের অধ্যক্ষ সিস্টার রিনা ম্যাগ্ডালিন ক্রুশ ও ভারতেশ্বরী হোমসের অধ্যক্ষ মিসেস মন্দিরা চৌধুরী প্রমুখ।
এদিকে কুমুদিনী হাসপাতাল ও ভারতেশ্বরী হোমসের প্রতিষ্ঠাতা দানবীর রণদা প্রসাদ সাহার ১২৭তম জন্মদিন উপলক্ষে কুমুদিনী পরিবার ও মির্জাপুর গ্রামবাসী সপ্তাহব্যাপী নানা কর্মসূচী গ্রহণ করেছে। প্রার্থনা, আলোচনাসভা কীর্তনসহ কুমুদিনী হাসপাতালের রোগীদের মধ্যে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন।
উল্লেখ্য, ১৮৯৬ সারে ১৫ নভেম্বর উথ্যান একাদশীতে অতিদরিদ্র পরিবারে এ মহামনিষীর জন্ম হয়। তাঁর মায়ের নাম কুমুদিনী এবং বাবার নাম দেবেন্দ্র নাথ সাহা। শিশুকালেই পিতা মাতাকে হারিয়ে বড় হতে থাকেন তিনি। কঠোর অধ্যাবসায় আর অদম্য সাহসিকতা নিয়ে এগিয়ে যান তিনি। জীবন সংগ্রামে জয়ী রণদা প্রসাদ সাহা জীবনের সমস্ত উপার্জিত অর্থ মানবতার কল্যাণে দান করে কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযদ্ধের সময় পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসরদের সহায়তায় রণদা প্রসাদ সাহা ও ছেলে ভবানী প্রসাদ সাহা রবিকে তাদের নারায়নগঞ্জের বাসা থেকে অপহরন করে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তাদের আর কোন সন্ধান মেলেনি।