
স্টাফ রিপোর্টার ॥
কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, দেশের সন্ত্রাস ও জঙ্গি দমনে সশস্ত্র বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখছে। দেশের অবকাঠামোর উন্নয়নে এবং যেকোন দুর্যোগ মোকাবেলায় সশস্ত্র বাহিনী বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করে। এছাড়াও জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশের ভাবমুর্তি উজ্জ্বল করছে সশস্ত্র বাহিনী।
তিনি মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে শহীদ সালাহউদ্দিন সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান ও প্রীতি সম্মিলন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনী জাতীয় পর্যায়ে যে কোন দুর্যোগ মোকাবিলা, অবকাঠামো নির্মাণ, আর্তমানবতার সেবা, পার্বত্য চট্টগ্রামে সন্ত্রাস দমন, জঙ্গী দমন, বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা এবং বিভিন্ন দেশগঠনমূলক কর্মকান্ডের মাধ্যমে দেশের সার্বিক উন্নয়নে অবদান রাখছে। এছাড়াও জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে। তিনি আরো বলেন যে, আধুনিকায়ন, সম্প্রসারণ ও যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে আধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ সামরিক সরঞ্জাম দিয়ে সশস্ত্র বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করতে বর্তমান সরকার সবসময় আন্তরিক রয়েছেন।
এ সময় তিনি মুক্তিযুদ্ধে ঘাটাইল অঞ্চলের অসীম সাহসিকতা, সহযোগিতা এবং বীরত্বপূর্ণ অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ঘাটাইল অঞ্চলের বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ সকল বীর শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ১৯ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও ঘাটাইল এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল নকিব আহমদ চৌধুরী। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়ারের, স্থানীয় সংসদ সদস্য আতাউর রহমান খান, টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক কায়সারুল ইসলাম, পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মাদ কায়সার, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ডাঃ কামরুল ইসলামসহ সামরিক এবং বেসামরিক ব্যক্তিবর্গ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের পরিবারবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। পরে কেক কেটে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উৎযাপন করা হয়। বাদক দলের ব্যাদ্যসহ সেনাবাহিনীর সক্ষমতা তুলে ধরতে বিভিন্ন শারিরীক কসরত প্রদর্শন ও চা চক্রের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।