
স্টাফ রিপোর্টার ॥
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে বালুবাহী ড্রাম ট্রাকের চালক সুমন মিয়াকে (২৭) আটক করে পুলিশ হেফাজতে নেয়ার পর তার মৃত্যু অভিযোগ উঠেছে। নিহত ট্রাক চালক সুমন সে উপজেলার জামুরিয়া এলাকার গোলাম মোস্তফার ছেলে। বুধবার (২৩ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে তাকে বালুবাহী ট্রাকসহ আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এরপর রাত ১০টায় থানা হেফাজতে তার মৃত্যু হয়।
জানা গেছে, উপজেলার সাগরদীঘি থেকে দুইটি বালুবাহী ট্রাক ঘাটাইল কলেজ মোড় এলাকায় আসার পর আটক করে পুলিশ। পরে চালকসহ দুইটি ট্রাক থানায় নেয়া হয়। এরপর ট্রাকের কাগজপত্র দেখে পুলিশ। এরপর একটি ট্রাকের চালক সুমন হঠাৎ অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। এসময় সে পানি খেতে চাইলে পুলিশ পানি পান করায় সুমনকে। পরে একপর্যায়ে সুমন পড়ে যায়।
আটক আরেক ট্রাকের চালক এবং নিহত সুমনের চাচাতো ভাই সুজন জানান, আমরা ট্রাক নিয়ে করেজ মোড় আসার পরই পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এরপর কাগজপত্র যাচাই বাছাই করে। এ সময় একটি গাড়ির কাগজপত্র না থাকায় বাড়িতে লোক পাঠানো হয়। এ সময় ভয়ে সুজন অসুস্থ্য হয়ে পরে। পুলিশকে বারবার বলেছি সুমন অসুস্থ্য তারপরও কোন উদ্যোগ নেয়নি।
ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শহিদুল ইসলাম বলেন, ওই চালককে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা মারুফ সুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
জামুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম খান হেস্টিংস বলেন, খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে সুজনের মরদেহ দেখতে পেয়েছে। কি কারণে তার মৃত্যু হয়েছে সেটা তদন্ত করলে জানা যাবে।
এই বিষয়ে ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হোসাইনের সাথে মোবাইলে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
ঘাটাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরতিজা হাসান বলেন, ড্রাম ট্রাক চলাচল নিষিদ্ধ ছিল। সেই অনুযায়ী পুলিশ দুইটি ট্রাক আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এরপর সেখানে একজন অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। এরপর পুলিশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তিনি আরো বলেন, নিহত সুমন আগে থেকে অসুস্থ্য ছিলেন বলে তার পরিবার জানিয়েছে।