হাসান সিকদার ॥
বিএনপি-জামায়াত ও বিরোধী দলীয়দের ডাকা এক দফা দাবি আদায়ে দেশব্যাপী টানা হরতাল-অবরোধের কারণে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে ঢাকা-উত্তরবঙ্গগামী দূরপাল্লার গণপরিবহন চলাচল কম করায় চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ যাত্রীরা। তবে, অবরোধে মহাসড়কে বেড়েছে মোটরসাইকেল আরোহীর সংখ্যা।
বৃহস্পতিবার (২২ নভেম্বর) হরতাল-অবরোধের ৬ষ্ঠ দফার দ্বিতীয় ও শেষ দিনে মহাসড়কের বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেল স্টেশন ও গোল চত্বর এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। এর আগের হরতাল-অবরোধের চিত্র ছিল একই। পণ্যবাহী ট্রাক চলাচলের সংখ্যাও ছিল কম। এছাড়া হাতে-গোনা কিছু বাস চলাচল করলেও তা স্টেশনে দাঁড়ায়নি।
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব হতে মির্জাপুরের গোড়াই ও গাজীপুরের চন্দ্রা, কালিয়াকৈর পর্যন্ত সিএনজিতে ভাড়াও নেওয়া হচ্ছে ৩’শ থেকে ৫’শ টাকা। সেতু পারাপারে সায়েদাবাদ ও কড্ডারমোড় পর্যন্ত মোটরসাইকেলে ১’শ থেকে ১৫০ টাকা, পিকআপে ৮০-১০০ টাকা ও ট্রাকে ৫০-১০০ টাকা নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন যাত্রীরা। বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেলস্টেশনে অপেক্ষারত সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরগামী মোজাফর আলী টাঙ্গাইল নিউজবিডিকে বলেন, গাজীপুরের চন্দ্রা থেকে সিএনজিতে ৪০০ টাকা ভাড়ায় এলেঙ্গা আসি। সেখান থেকে লেগুনায় সেতু স্টেশনে ৫০ টাকা ভাড়া নেয়। কিছুক্ষণ দেরি করে মোটরসাইকেলে বঙ্গবন্ধু সেতু পারাপার হই ১২০ টাকায়। সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার মোটরসাইকেল চালক আব্দুর রহমান টাঙ্গাইল নিউজবিডিকে বলেন, আমি ঢাকায় রাইড শেয়ারিং করতাম। হরতাল-অবরোধের কারণে বাড়িতে চলে আসি। পরে ভাবলাম বসে না থেকে আপাতত এলাকাতেই রাইড শেয়ারিং করি। তাই সেতুতে ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালাচ্ছি। সেতু পারাপারে ভাড়া নিচ্ছি জনপ্রতি ১০০ টাকা।
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলমগীর আশরাফ টাঙ্গাইল নিউজবিডিকে জানান, মহাসড়কে দূরপাল্লার গণপরিহন কম চলাচল করায় যাত্রীরা মোটরসাইকেলযোগে বঙ্গবন্ধু সেতু পারাপার হচ্ছে। কোনো নাশকতার ঘটনা ঘটেনি। সেতু পূর্ব এলাকায় কোনো ধরণের নাশকতা করতে না পারে সে লক্ষ্যে পুলিশ টহল দিচ্ছে।
এ ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল টাঙ্গাইল নিউজবিডিকে বলেন, হরতাল-অবরোধের কারণে সেতু দিয়ে দূরপাল্লার গণপরিবহন চলাচল না করলেও পণ্যবাহী ট্রাক, মাইক্রোবাস, পিকআপ ও মোটরসাইকেল চলাচল করছে। তবে, অবরোধে স্বাভাবিকের তুলনায় মোটরসাইকেল চলাচল বৃদ্ধি পেয়েছে।