
স্টাফ রিপোর্টার, মির্জাপুর ॥
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ভাওড়া স্কুল এন্ড কলেজের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করা হলেও অজ্ঞাত কারণে ফলাফল ঘোষণা করা হয়নি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ৪টি ক্যাটাগরির শূন্য পদে ১৯ জন আবেদন করেন। ফলাফল ঘোষণা না কারায় চাকরিপ্রত্যাশীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
জানা গেছে, ভাওড়া স্কুল এন্ড কলেজের চতুর্থ শ্রেণির ৪ পদের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। এর মধ্যে নিরাপত্তা কর্মী, আয়া, সুইপার ও নৈশপ্রহরী পদে চারজন নিয়োগ দেয়া হবে। এসব পদে ১৯ জন চাকরিপ্রত্যাশী আবেদন করেন। পরে নিয়ম মোতাবেক গত ২৩ নভেম্বর একজন আবেদনকারী ছাড়া সবাই লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেন। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়নি। ফলাফল ঘোষণা না কারায় চাকরিপ্রত্যাশীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক জানান, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্যরা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তাদের পছন্দের ব্যক্তিকে নিয়োগ দেয়ার পায়তারা করছেন। পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা না করায় তা ফুটে উঠেছে। এভাবে পছন্দের ব্যক্তিকে নিয়োগের পায়তারা করা হলে কেন পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয় তা আমাদের বোধগম্য নয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নিরাপত্তাকর্মী পদে একজন স্নাতক পাশ অংশগ্রহণকারী জানান, তিনি লিখিত পরীক্ষায় ৩০ নম্বরের উপরে পাবেন। তাছাড়া মৌখিক পরীক্ষাও ভালো করেছেন বলে তিনি দাবি করেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হাবিবুর রহমান হাসান, খাতা মূল্যায়ন ও মৌখিক পরীক্ষা হলেও ফলাফল যোগ দেয়া হয়নি। বিষয়টি নিয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মো. লোকমান হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন।
তবে বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ডা. মো. লোকমান হোসেনের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ৪০ নম্বরে লিখিত পরীক্ষার মূল্যায়ন ও ১০ নম্বরে মৌখিক পরীক্ষা শেষে জরুরী কাজ থাকায় চলে আসি।
ডিজি প্রতিনিধি দেলদুয়ার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাসুদুল আলম জানান, সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা শেষে চার পদে চারজনকে নির্বাচিত করে চলে এসেছি। কে কার প্রার্থী তা আমাদের জানা নেই। ফলাফল প্রকাশ এবং নিয়োগ দেয়ার দায়িত্ব বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির বলে তিনি উল্লেখ করেন।