স্টাফ রিপোর্টার ॥
টাঙ্গাইলের পাহাড়ি এলাকার সখীপুরে ফিলিপাইনের উচ্চ ফলনশীল কালো আখের আবাদ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। সুমিষ্ট ও রসালো এ জাতের আখের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে বাজারে। রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বেশি থাকার কারণে এ জাতের আখের আবাদে ক্ষতির সম্ভবনা খুবই কম।
সখীপুর উপজেলার বোয়ালি ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক শফিকুল ইসলাম চাপাই নবাবগঞ্জ থেকে দুই বছর আগে ফিলিপাইনের জনপ্রিয় ব্ল্যাক সুগারকেইন বা কালো আখের চারা লাগান তার ৮৭ শতাংশ জমিতে। প্রথম বছর তার চারা কেনা, রোপন ও পরিচর্যাসহ সব মিলিয়ে খরচ হয়েছিল তিন লাখ টাকার কাছাকাছি। আখ বিক্রি করতে পেরেছিলেন সাড়ে তিন লাখ টাকার মতো। এবার খরচ হয়েছে এক লাখ ৮০ হাজার টাকা। আর বিক্রি করার আশা করছেন সাড়ে ৪ লাখ টাকা। এই জাতের আখের চারা সংগ্রহ করতে বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, রাজশাহী, বগুড়া, রংপুরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে কৃষক আসছেন। শফিকুল ইসলাম এ পর্যন্ত প্রায় তিন লাখ টাকার চারা বিক্রি করেছেন।
অত্যন্ত লাভজনক হওয়ায় এলাকার অন্যান্য কৃষকরাও কালো আখের আবাদ করার আগ্রহ প্রকাশ করছে। নতুন জাতের এই আখ আবাদে তথ্য ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দেয়ার কথা বলছে কৃষি বিভাগ। এমনটাই জানিয়েছেন, টাঙ্গাইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এরজেলা প্রশিক্ষণ অফিসার দুলাল উদ্দিন।
স্থানীয়সহ দেশে উৎপাদিত অন্যান্য যে কোন আখের থেকে ব্ল্যাক সুগারকেইন বা কালো আখ মিষ্টি ও রসালো। চিবিয়ে খাওয়া যায়। পাশাপাশি উন্নতমানের গুড়ও তৈরি হয়। সারাদেশে এই আখের আবাদ ছড়িয়ে দিতে পারলে লাভবান হবে দেশের কৃষিখাত। এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।