
জাহিদ হাসান ॥
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে ১১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে ৬ জনের নামে ৫৭টি বিভিন্ন মামলা মোকাদ্দমা রয়েছে। এছাড়া ৫ জন প্রার্থীর নামে কোন মামলা নেই। টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রার্থীদের জমাকৃত মনোনয়নপত্র থেকে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য জানা যায়।
প্রার্থীদের হলফনামা সূত্রে জানা যায়, জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী ও জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হকের নামে ২টি মামলা রয়েছে। তার মধ্যে একটি আপিল বিভাগে শুনানিতে রয়েছে। অপর মামলায় অব্যহতি পেয়েছেন তিনি।
এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী মুরাদ সিদ্দিকীর নামে ২৪টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ১৮টি মামলায় তিনি অব্যহতি পেয়েছেন এবং ৫টি মামলায় খালাস পেয়েছেন। বাকি ১টি মামলা বর্তমানে চলমান রয়েছে।
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এডভোকেট মামুন অর রশিদ মামুনের নামে রয়েছে ১টি মামলা। সেই মামলায় তিনি খালাস পেয়েছেন।
এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী খন্দকার আহসান হাবীবের নামে ৯টি মামলা রয়েছে। তার সবকয়টি মামলাই বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে।
অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী টাঙ্গাইল পৌরসভার তিনবারের সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জামিলুর রহমান মিরনের নামে ১৬টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ১৫টি মামলায় তিনি খালাস পেয়েছেন। তার বিরুদ্ধে একটি মামলা বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে।
টাঙ্গাইল সদর আসনে আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি স্বতন্ত্র প্রার্থী ছানোয়ার হোসেনের নামে ৫টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ৩টি মামলায় তিনি খালাস পেয়েছেন। অপর ২টি মামলা হতে অব্যহতি পেয়েছেন তিনি।
এছাড়া টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের এমপি প্রার্থী তৃনমূল বিএনপির প্রার্থী শরিফুজ্জামান খান মহব্বত, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) এর প্রার্থী তৌহিদুর রহমান চাকলাদার, স্বতন্ত্র প্রার্থী হাসরত খান ভাসানী, স্বতন্ত্র প্রার্থী মেহেনিগার হোসেন তন্ময় ও জাকের পার্টির প্রার্থী দুলাল মিয়ার নামে কোন মামলা নেই।
এদিকে রবিবার (৩ ডিসেম্বর) মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী খন্দকার আহসান হাবীব ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মেহেনিগার হোসেন তন্ময়ের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। তবে এ বিষয়ে তারা আপীল করতে পারবে নির্বাচন কমিশনের কাছে।