স্টাফ রিপোর্টার ॥
যমুনা নদীর ওপর নির্মাণাধীন বাংলাদেশ রেলওয়ের মেগা প্রকল্প দেশের বৃহত্তম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর ৭৩ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। সেতুর মূল অবকাঠামো নদীর ওপর স্প্যান নির্মাণ কাজ আড়াই কিমি এখন দৃশ্যমান। ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ডাবল ট্র্যাকের ডুয়েল গেজের এই রেল সেতুটির টাঙ্গাইল অংশে ২৭টি এবং সিরাজগঞ্জ অংশে ৯টি পিলারসহ মোট ৩৬টি পিলারের কাজ শেষ হয়েছে। আর ৪৯টি স্প্যানের মধ্যে দু’পাড়ে বসানো হয়েছে ২৫টি স্প্যান। ইতোমধ্যে টাঙ্গাইল অংশে স্প্যানের ওপর বসানো হচ্ছে স্লিপারবিহীন রেল লাইন।
টাঙ্গাইল অংশে অ্যাপ্রোচ রেলপথ নির্মাণ কাজের অগ্রগতি ৮৫ শতাংশ আর সিরাজগঞ্জ অংশে ৭৫ শতাংশ। প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের দাবি দেশের কোনো রেল সেতু নির্মাণে জাপানি প্রযুক্তিতে স্লিøপার ছাড়া রেল লাইন ব্যবহার এবারই প্রথম। এই প্রযুক্তি ব্যবহারে সেতুর ওপর রেলপথ রক্ষণাবেক্ষণের সময় এবং খরচ দুটোই সাশ্রয় হবে। প্রমত্তা যমুনা নদীর ওপর তিনশ’ মিটার দূরুত্বে পাশাপাশি দুইটি সেতু। একটি চলমান বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতু, অপরটি নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু। বাংলাদেশ রেলওয়ের মেগা প্রকল্প দেশের বৃহত্তম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু ডুয়েলগেজ ডাবল ট্র্যাক সম্বলিত রেল সেতু। এই সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হলে সেতুর ওপর দিয়ে ২০২৪ সালে ব্রডগেজ ও মিটারগেজ দু’ধরনের ট্রেনই ঘন্টায় ১২০ কিমি গতিতে পারাপার হতে পারবে। জাপান ও বাংলাদেশের যৌথ অর্থায়নে ১৬ হাজার ৭৮১ কোটি টাকার এই মেগা প্রকল্প এখন বাস্তবায়নের পথে। দেশ-বিদেশের সাত হাজারেরও শ্রমিক আর প্রকৌশলীদের অক্ল¬ান্ত পরিশ্রমে টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জ প্রান্তে দুটি প্যাকেজের আওতায় চলছে এই রেল সেতুর নির্মাণ কাজ। সিরাজগঞ্জ প্রান্তে কাজ কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়েছে টাঙ্গাইল অংশে। এই অংশে ২৭ পিলারের মধ্যে সেতুর ২৫টি পিলারের ওপর বসানো হয়েছে ২৩টি স্প্যান। সিরাজগঞ্জ অংশে ৯টি পিলারে দুইটি স্প্যান মিলিয়ে মোট ২৫টি স্প্যান এখন দৃশ্যমান। বাকি পিলারগুলোতে চলছে স্প্যান বসানোর কাজ। প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী তানভীরুল ইসলাম টাঙ্গাইল নিউজবিডিকে বলেন, দুটি প্যাকেজের ডব্লিউডি-১ টাঙ্গাইল অংশে ৮৬ শতাংশ ও ডব্লিউডি-২ সিরাজগঞ্জ অংশে ৭৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। অর্থাৎ এ সেতুু এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান হয়েছে ৭৩ শতাংশ। আর দ্রুত সময়ের মধ্যে এ প্রকল্পের কাজ শেষ করতে ৭ হাজার ৩৬০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিক কাজ করছে। আগামী ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত এ প্রকল্পের মেয়াদ রয়েছে। স্প্যানের ওপর জাপানিদের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির রেললাইন বসানো হচ্ছে। এ সেতুতে কোনো স্লিøপার থাকবে না। সেতুর ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চলাচল করতে পারবে।
জাপান ও বাংলাদেশের যৌথ অর্থায়নে ১৬ হাজার ৭৮১ কোটি টাকার এই মেগা প্রকল্প এখন বাস্তবায়নের পথে। দেশ-বিদেশের সাত হাজারেরও শ্রমিক আর প্রকৌশলীদের অক্ল¬ান্ত পরিশ্রমে টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জ প্রান্তে দুটি প্যাকেজের আওতায় চলছে এই রেল সেতুর নির্মাণ কাজ। সিরাজগঞ্জ প্রান্তে কাজ কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়েছে টাঙ্গাইল অংশে। এই অংশে ২৭ পিলারের মধ্যে সেতুর ২৫টি পিলারের ওপর বসানো হয়েছে ২৩টি স্প্যান। সিরাজগঞ্জ অংশে ৯টি পিলারে দুইটি স্প্যান মিলিয়ে মোট ২৫টি স্প্যান এখন দৃশ্যমান। বাকি পিলারগুলোতে চলছে স্প্যান বসানোর কাজ।
প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী তানভীরুল ইসলাম টাঙ্গাইল নিউজবিডিকে বলেন, দুটি প্যাকেজের ডব্লিউডি-১ টাঙ্গাইল অংশে ৮৬ শতাংশ ও ডব্লিউডি-২ সিরাজগঞ্জ অংশে ৭৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। অর্থাৎ এ সেতুু এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান হয়েছে ৭৩ শতাংশ। আর দ্রুত সময়ের মধ্যে এ প্রকল্পের কাজ শেষ করতে ৭ হাজার ৩৬০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিক কাজ করছে। আগামী ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত এ প্রকল্পের মেয়াদ রয়েছে। স্প্যানের ওপর জাপানিদের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির রেললাইন বসানো হচ্ছে। এ সেতুতে কোনো স্লিøপার থাকবে না। সেতুর ওপর দিয়ে ঘন্টায় ১২০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চলাচল করতে পারবে। যমুনা নদীর ওপর নির্মাণাধীন রেল সেতুতে সিরাজগঞ্জ ও টাঙ্গাইল প্রান্তে সহ¯্রাধিক দেশী-বিদেশী প্রকৌশলী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকদের তত্ত্বাবধানে নির্মাণ কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। এরই মধ্যে প্রকল্পটির ৬৯ শতাংশেরও বেশি অগ্রগতি হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসুদুর রহমান টাঙ্গাইল নিউজবিডিকে বলেন, ইতোমধ্যে ৫০ পিলারের ৩৬টি পিলারের পিয়ারহেড নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে এবং ৪৯টি স্প্যানের মধ্যে শেষ হয়েছে ২৫টি স্প্যান বসানোর কাজ। ভিয়েতনাম ও মিয়ানমার থেকে আনা বিশেষভাবে তৈরি মরিচারোধী বড় বড় স্টিলের কাঠামো দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে সেতুর স্প্যান। বঙ্গবন্ধু রেল সেতুতে দেশে প্রথমবারের মতো ব্যবহার হচ্ছে জাপানি আধুনিক ডাইরেক্ট রেল ফ্যাসেনার প্রযুক্তি। এই প্রযুক্তিতে স্প্যানের ওপর সরাসরি বসানো হচ্ছে রেললাইন। এতে সেতুর ওপর রেল লাইনের স্থায়িত্ব বাড়ার পাশাপাশি কমবে রক্ষণাবেক্ষণ খরচও। ৪.৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে রেল সেতুর এখন পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ে কাজের অগ্রগতি ৭৩ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর নির্মাণ কাজ নির্দিষ্ট সময়ে শেষ হবে বলে জানান তিনি।