বিগত পাঁচ বছরে এমপি ছোট মনিরের ব্যাংকের টাকা কমেছে

গোপালপুর টাঙ্গাইল টাঙ্গাইল স্পেশাল ভূঞাপুর লিড নিউজ

স্টাফ রিপোর্টার ॥
বিগত পাঁচ বছরে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের দ্বিতীয়বারের মতো আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তানভীর হাসান ছোট মনিরের নামে সাতটি মামলা থাকলেও সাতটিতেই তিনি খালাস পেয়েছেন। তবে ছোট মনিরের ব্যাংকের টাকা কমেছে। বিগত ২০১৮ ও ২০২৩ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হলফনামা থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
হলফনামা থেকে আরও জানা যায়, টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের দ্বিতীয়বারের মতো আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ছোট মনির বিগত ২০১৮ সালে তার কাছে নগদ টাকা ছিলো দুই লাখ, ব্যাংকে ১১ লাখ, স্বর্ণ ৪০ ভরি, আড়াই লাখ টাকার ইলেকট্রিক সামগ্রী ও সাড়ে তিন লাখ টাকার আসবাবপত্র ছিলো। চলতি ২০২৩ সালে তার কাছে নগদ টাকা আট লাখ, ব্যাংকে ৩০ হাজার ৭৫৫ টাকা, স্বর্ণ ১৫০ ভরি (বিয়েতে উপহার), আড়াই লাখ টাকার ইলেকট্রিক সামগ্রী ও সাড়ে তিন লাখ টাকার আসবাবপত্র, গোপালপুরে ২৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা মূল্যের ৯৯ শতাংশ জমি রয়েছে। কৃষি খাত থেকে বছরে আয় ৩৯ লাখ ১৫ হাজার ৯০৫ টাকা ও জাতীয় সংসদ সংসদ হিসেবে সম্মানী ভাতা ৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা। ছোট মনিরের স্ত্রীর নামে ২০০ ভরি স্বর্ণ (বিয়ের সময় উপহার পাওয়া), স্ত্রীর নামে ব্যাংকে জমা ৪৭ লাখ ৯৯ হাজার ৭৬৭ টাকা, নগদ ২ লাখ ৪৪ হাজার ৫৪৯ টাকা, ৪৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা মূল্যের ফ্লাট রয়েছে। তবে সেটা কোথায় তার ঠিকানা দেওয়া হয়নি।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ছোট মনির ঋণ হিসেবে দেখিয়েছেন জনতা ব্যাংক থেকে ১৪ কোটি ২১ লাখ ৭১ হাজার ৫১৭ টাকা ঋণ (যৌথ)। তবে একাদশ সংসদ নির্বাচনে হলফনামায় তিনি কোনো ঋণের তথ্য উল্লেখ করেননি।
আরও জানা যায়, বর্তমান সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির জার্মানি প্রবাসী ছিলেন। এর আগে সিদ্দিকী পরিবারের সদস্য আব্দুল কাদের সিদ্দিকী আওয়ামী লীগে থাকার সময় ছোট মনির সিদ্দিকী পরিবারের সঙ্গে রাজনীতিতে যুক্ত হন। কাদের সিদ্দিকী আলাদা দল গঠন করার পর ছোট মনির জার্মানি চলে যান। এরপর বিগত ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারিতে জেলা আওয়ামী লীগের নেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদকে হত্যা করা হয়। এই মামলায় বিগত ২০১৬ সালে প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। সেই প্রতিবেদনে সাবেক এমপি আমানুর রহমান খান রানা ও তার তিন ভাইসহ বেশ কয়েকজনকে আসামি করা হয়। আলোচিত খান পরিবারের চার ভাই আওয়ামী লীগ নেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ হত্যা মামলার আসামি হওয়ার পর টাঙ্গাইল জেলায় রাজনীতির পরিবর্তন হতে শুরু হয়। এ সময় জার্মানি থেকে দেশে ফিরে জেলা আওয়ামী লীগে যুক্ত হয়ে খান পরিবারের ভাইদের শাস্তির দাবিতে আন্দোলন গড়ে তোলেন ছোট মনির ও তার বড় ভাই গোলাম কিবরিয়া বড় মনি। এরপর থেকে নিজের ভিত মজবুত করতে শুরু করেন তিনি। পরে জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদকের পাশাপাশি বিগত ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর বিগত ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খানের মেয়ে ঐশী খানকে বিয়ে করেন। সংসদ সদস্য ছোট মনিরের বড় ভাই গোলাম কিবরিয়া বড় মনির টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা বাস কোচ মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিব।

 

 

৪১৯ Views

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *