
সাদ্দাম ইমন ॥
টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী টাঙ্গাইল পৌরসভার ৪ বারের মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সংগঠনিক সম্পাদক জামিলুর রহমান মিরনের চেয়ে তার স্ত্রীর সম্পদ বেশি। তার স্ত্রীর নামে পৌনে ৪ কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জমা দেয়া হলফনামায় তিনি এসব তথ্য দিয়েছেন।
হলফনামা থেকে আরও জানা যায়, জামিলুর রহমান মিরন এইচএসসি পাস করেছেন। পেশায় তিনি একজন বালু ও ইট সরবরাহকারী ব্যবসায়ী। তার নামে ১৬টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলা চলমান রয়েছে। আর বাকী ১৫ টি মামলা নিস্পত্তি হয়েছে।
তার সম্পদ বিবরণীতে তিনি উল্লেখ করেন, কৃষি খাত থেকে তার বাৎসরিক কোন আয় না থাকলেও স্ত্রীর আয় ১১ হাজার ৫০০ টাকা। বাড়ি/এপার্টমেন্ট/ দোকান বা অন্যান্য ভাড়া বাবদ তার বাৎসরিক কোন আয় নেই। ব্যবসা থেকে তার আয় ৮ লাখ ৫২ হাজার ৪০০ টাকা, তার স্ত্রীর আয় ৭ লাখ ৫২ হাজার ৫৬০ টাকা। শেয়ার, সঞ্চয়পত্র/ব্যাংক আমানত থেকে তার আয় ১১ লাখ ৩১ হাজার ৩০৯ টাকা। স্ত্রীর আয় ১৫ লাখ ১৬ হাজার ৯৯১ টাকা।
অস্থাবর সম্পত্তির হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, তার কাছে নগদ টাকা রয়েছে ২ লাখ টাকা ও স্ত্রীর নামে রয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা রয়েছে ৩৪ লাখ ১৭ হাজার ৯২৫ টাকা ও স্ত্রীর নামে রয়েছে ১৭ লাখ ৩৫ হাজার ৯০০ টাকা। তার স্ত্রীর নামে সঞ্চয়পত্র রয়েছে ৪৫ লাখ টাকার ও এফডিয়ার রয়েছে ১ কোটি ৭৪ লাখ ৮১ হাজার ৮৯০ টাকার। তার নিজের নামে কোন গাড়ি নেই। তবে তার স্ত্রীর নামে একটি গাড়ি রয়েছে, যার মূল্য ৫৪ লাখ টাকা। নিজ নামে স্বর্ণালংকার রয়েছে ৪ ভরি। ইলেকট্রনিক সামগ্রী রয়েছে ৬০ হাজার টাকার ও আসবাবপত্র রয়েছে নিজ নামে ৬০ হাজার টাকার ও স্ত্রীর নামে রয়েছে ৩০ হাজার টাকার। মিরনের ও তার স্ত্রীর নামে দুটি মোবাইল রয়েছে যার মূল্য ৪০ হাজার টাকা।
স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে নিজ নামে কোন কৃষি জমি না থাকলেও তার স্ত্রীর নামে রয়েছে ৭৩ শতাংশ। যার মূল্য ১৭ লাখ ৬৫ হাজার টাকা (অর্র্জনকালীন সময়ের মূল্য)। নিজ নামে অকৃষি জমি রয়েছে ৩৩.৫ শতাংশ। যার মূল্য ৫ লাখ ৭ হাজার ৫০০ টাকা। তার স্ত্রীর নামে রয়েছে ৪১ শতাংশ জমি। যার মূল্য ৭৩ লাখ ৮ হাজার ২২৬ টাকা (অর্র্জনকালীন সময়ের মূল্য)। মিরনের নামে ২৭২.২৪২ বর্গমিটারের দালান রয়েছে। যার মূল্য ৪৩ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। নিজ নামে ঢাকার রাজউকে ফ্ল্যাট বাবদ অগ্রীম রয়েছে ৮ লাখ ৯২ হাজার ৪০০ টাকার (অর্র্জনকালীন সময়ের মূল্য)। বাকিতে মাল ক্রয় বাবদ ঋণ রয়েছে ৫ লাখ টাকার।