ভাষা সৈনিক একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রতিভা মুৎসুদ্দির ৮৯ তম জন্মবার্ষিকী পালিত

টাঙ্গাইল মির্জাপুর লিড নিউজ শিক্ষা

স্টাফ রিপোর্টার, মির্জাপুর ॥
ভাষা সৈনিক একুশে পদকপ্রাপ্ত কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট অব বেঙ্গলের উপদেষ্টা ভারতেশ্বরী হোমসের সাবেক প্রিন্সিপাল প্রতিভা মুৎসুদ্দির ৮৯ তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) বেলা বারোটার দিকে ভারতেশ্বরী হোমসের প্রিন্সিপাল প্রতিভা মুৎসুদ্দি হলে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল প্রতিভা মুৎসুদ্দির ম্যুরাল উন্মোচন, কেক কাটা ও স্মৃতিচারণ। এতে হোমসের প্রাক্তন অভিনেত্রী অরুনা বিশ্বাস, আফসানা মিমি, ব্যারিস্টার ফারজানা হাসান কংকন, রোজী নিপাসহ প্রাক্তন ছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে উপস্থিত সকলেই মহান বিজয় দিবসের কেক কাটেন। এছাড়া ভারতেশ্বরী হোমসের ডাইনিং এ অতিথিদের মধ্যে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়।

প্রাক্তন ছাত্র অভিনেত্রী আফসানা মিমি বলেন, আমি অনেক সৌভাগ্যবান। আমার মা এই তীর্থস্থান ভারতেশ্বরী হোমসে পঞ্চম ও ষষ্ঠ শ্রেণিতে লেখাপড়া করিয়েছেন। তখন থেকেই ভাষা সৈনিক প্রিন্সিপাল প্রতিভা মুৎসুদ্দির আদর্শ আমাকে মুগ্ধ করেছে, আজও তা ভুলতে পারিনি। মহান এই মানুষটির আজ শুভ জন্মদিন। অভিনেত্রী ও প্রাক্তন ছাত্রী অরুনা বিশ্বাস বলেন, নারী জাগরণের কথা বলা হয় সেই জাগরণের যে সাহস, যে উদ্দিপনা সেটা আমরা প্রতিভা মুৎসুদ্দির কাছ থেকে পেয়েছি। মহান বিজয় দিবসের পবিত্র দিনে মহান প্রধান শিক্ষক শিক্ষাগুরু বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের একজন সৈনিক যিনি ভাষা সৈনিক আমার মা প্রতিভা মুৎসুদ্দির আজকে জন্মদিন। ভারতেশ্বরী হোমস ছাড়া আমার আর কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই। আমি ধণ্য এমন একটি প্রতিষ্ঠান এবং এমন এক শিক্ষা গুরুর কাছ থেকে শিক্ষা লাভ করেছি।

সাড়ে তিন বছর বয়স থেকে আমি তার হাত ধরে অক্ষর চিনেছি। আমরা বন্ধুরা মিলে প্রতিভা মুৎসুদ্দির একটি ম্যুরাল তৈরি করেছি। গর্ব করে বলি আমি ভারতেশ্বরী হোমসের একজন প্রাক্তন ছাত্রী। আমাকে ছাড়া এখানে কোন অনুষ্ঠান হয়নি। এই প্রতিষ্ঠানের সবাই আমাকে শুদ্ধ পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে তৈরির চেষ্টা করেছেন। কতটুকু হতে পেরেছি তা আমি জানি না।

ভারতেশ্বরী হোমসের ছাত্রী ব্যারিস্টার ফারজানা হাসান কংকন বলেন, আমরা আজ প্রতিভা মুৎসুদ্দিকে সবাই বড় মা বলি। তখন তাকে মিস মুৎসুদ্দি বলতাম। প্রথম দেখাতেই মানুষের সাথে যে কানেকশন তৈরি হয়, মায়ের সাথে আমাদের সে কানেকশটা তৈরি হয়। তখন তিনি বলেছিলেন তুমি তো এখানে থাকবে না। তখন আমি বলি আমি তো জানি না, আপনি আমাকে রাখবেন কি না। ভারতেশ্বরী হোমসের ডিসিপ্লিনটা পরবর্তী জীবনে আমাকে এ্যাফেক্ট করেছে। পৃথিবীর যেখানেই যাই কি না সফলতার সাথে কাজ শেষ করতে পারি।

 

১৭৭ Views

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *