সাদ্দাম ইমন ॥
সকল পর্ব শেষে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন গড়িয়েছে মাঠের লড়াইয়ে। সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) টাঙ্গাইল জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে প্রতীক বুঝে নিয়ে প্রার্থীরা নেমে পড়েছেন আনুষ্ঠানিক প্রচারে। আগামী (৭ জানুয়ারি) ভোটের আগে (৫ জানুয়ারি) সকাল ৮টা পর্যন্ত চলবে এই প্রচার পর্ব। এ সময়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট চাইবেন প্রার্থীরা। নির্বাচনি সভা-সমাবেশ-মিছিলে সরগরম হয়ে উঠেছে পুরো টাঙ্গাইল জেলার ৮টি সংসদীয় আসন।
টাঙ্গাইল জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক কায়ছারুল ইসলাম প্রতিক বরাদ্দ শেষে মতবিনিময় সভায় বলেন, প্রতিক পাওয়ার পর প্রার্থীরা প্রচার শুরু করতে পারবেন। এখন একটাই কথা, প্রার্থীদের আচরণবিধি মেনে চলতে হবে। প্রতীক নিয়ে শুরু প্রচারযুদ্ধ: যা যা করতে মানা- ভোটের প্রচারে প্রার্থীদের কী কী করার সুযোগ আছে, আর কী করা যাবে না- সে সম্পর্কে বলা রয়েছে নির্বাচনি আচরণবিধিতে। সরকারি কর্মসূচির সঙ্গে নির্বাচনি কর্মসূচি মিলিয়ে না ফেলতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রকল্প ঘোষণা, ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনা বা ফলক উন্মোচনে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সব মিলিয়ে একগুচ্ছ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বিধিতে।
যেমন- নির্বাচনি প্রতিক ও দলীয় প্রধানের ছবি নিয়ে প্রার্থীর ছবি সংবলিত পোস্টার হবে সাদাকালো এবং এবং নির্দিষ্ট মাপের। আর সেসব পোস্টার ঝুলবে কেবল দড়িতে। কোনো দেয়াল, যানবাহন, ভবন বা সড়ক বিভাজককে প্রচার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। আলোকসজ্জা, গেইট বা তোরণ নির্মাণ নিষিদ্ধ। মাইংকিংয়ের জন্য বেঁধে দেওয়া হয়েছে সময়, প্যাণ্ডেল তৈরিতে মানতে হবে মাপ।
প্রতীক বরাদ্দের পর প্রার্থীদের যে প্রচার শুরু হবে তা শেষ করতে হবে ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে। অর্থাৎ প্রার্থীরা প্রচারের সুযোগ পাচ্ছেন টানা ১৮ দিন। তারপর স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সে ও ব্যালট পেপারে ভোট হবে আগামী (৭ জানুয়ারি)। ওইদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল চার পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট দেবেন ভোটাররা। আচরণবিধি না মানলে প্রার্থী বা তার সমর্থকের সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদণ্ড বা পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয়দণ্ডের বিধান রয়েছে। সেই সঙ্গে প্রার্থিতা বাতিলসহ নিবন্ধিত দলকে পঞ্চাশ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানার করারও বিধান রয়েছে।