
স্টাফ রিপোর্টার, মির্জাপুর ॥
টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনে আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ ওয়ার্কাস পাটি, জাতীয় পার্টি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ, বাংলাদেশ কংগ্রেস, জাকের পার্টি ও স্বতন্ত্র একজনসহ আটজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী খান আহমেদ শুভ (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টু (ট্রাক) ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের আরমান হোসেন তালুকদার (গামছা) কে প্রচারণায় দেখা গেছে। তবে খান আহমেদ শুভ (নৌকা) ও মীর এনায়েত হোসেন মন্টুর (ট্রাক) সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে এলাকার সাধারণ মানুষের মঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।
প্রতিদিন সকালে নারী এবং বিকেলে পুরুষ কর্মী সমর্থক দিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিজ নিজ প্রার্থীর পক্ষে ভোট প্রার্থনা করা হচ্ছে। এছাড়া প্রার্থী ও নেতারা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পথসভা ও উঠান বৈঠকে বক্তৃতা করছেন। দিচ্ছেন উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতি।
মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মীর শরীফ মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার তাহরীম হোসেন সীমান্তসহ ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির অধিকাংশ সদস্য, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মনোনয়ন বঞ্চিত রাফিউর রহমান খান ইফসুফজাই সানি ও মেজর (অব) খন্দকার আব্দুল হাফিজ, উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কমিটির কয়েকজন সদস্য, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক শামীম আল মামুন, যুগ্ম আহবায়ক আজহারুল ইসলাম ও আবিদ হোসেন শান্ত স্বতন্ত্র প্রার্থী মীর এনায়েত হোসেন মন্টুকে সমর্থন দিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
এছাড়া পৌরসভার মেয়র সালমা আক্তার, কাউন্সিলরগণ, পৌর ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি হুমায়ুন তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদ মিয়া, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি খন্দকার নাইম হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সিয়াম, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক ওয়াকিল আহমেদ, ফয়সাল আহমেদ ও জিহাদ হাসান, উপজেলা মহিলা লীগ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতাকর্মীরা স্বতন্ত্র প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে প্রচারণা শুরু করেছেন বলে জানা গেছে।
এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীরা হলেন- খান আহমেদ শুভ (নৌকা), গোলাম নওজব চৌধুরী (হাতুড়ী), মীর এনায়েত হোসেন মন্টু (স্বতন্ত্র, ট্রাক), আরমান হোসেন তালুকদার (গামছা), জহিরুল ইসলাম জহির (লাঙ্গল), মঞ্জুর রহমাান মজনু (মশাল), মোক্তার হোসেন (গোলাপ ফুল) ও রুপা রায় চৌধুরী (ডাব)। তবে এদের মধ্যে খান আহমেদ শুভ ও মীর এনায়েত হোসেন মন্টুর সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে এলাকার সাধারণ মানুষের মঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।
এ উপজেলায় একটি পৌরসভা ও ১৪টি ইউনিয়নে ৩ লাখ ৮৫ হাজার ৪৩২ জন ভোটার রয়েছে। এরমধ্যে নারী ১ লাভ ৭৮ হাজার ২২০ এবং পুরুষ ১ লাখ ৮০ হাজার ২০৬ ও তৃতীয় লিঙ্গের ৬ জন রয়েছেন। ১২৭ কেন্দ্রে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।