
স্টাফ রিপোর্টার ॥
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের নাইম হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে। এ ঘটনায় স্ত্রীসহ ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) টাঙ্গাইলের গোপালপুর থেকে নাইমের স্ত্রী ও মাসুদ নামের একজনকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টায় ডিসিস্ট নাঈম (১৯) তার নিজ বাড়ি মাইজবাড়ী হতে শ্বশুর বাড়ি ভূঞাপুরের রামাইল এলাকায় বেড়ানোর উদ্দেশ্যে যায়। একইদিন সন্ধ্যা ৭টায় ডিসিস্ট নাঈমের (১৯) স্ত্রী রেশমির শ্বশুর শফিকুল ইসলামকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ফোন করে জানান যে, নাঈমকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) নাইমের বাবা শফিকুল ইসলাম ও মা নুরনাহার তাদের ছেলের বউ রেশমি ও বেয়াই রাজ্জাককে তাদের ছেলে নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তারা জানায় যে, তাদের জানা নেই। পরবর্তীতে নাঈম (১৯) এর বাবা-মা তাদের ছেলের বউয়ের কথা-বার্তা সন্দেহজনক হওয়ার কারণে মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বিষয়টি ভূঞাপুর থানা পুলিশকে মৌখিকভাবে জানান। তাৎক্ষনিকভাবে ভূঞাপুর থানা পুলিশের একটি টিম নাঈমের (১৯) শ্বশুর বাড়িতে পৌঁছান।
ভূঞাপুর থানার পুলিশের টিমের অফিসার নাইমের স্ত্রী রেশমিকে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে নাঈম (১৯) নিখোঁজ হওয়া ও তাকে হত্যার বিষয়ে তথ্য প্রদান করেন। তার দেওয়া তথ্যমতে ভূঞাপুর থানা পুলিশের টিমটি অভিযান পরিচালনা করে আসামী ভূঞাপুর উপজেলার ভরুয়া গ্রামের আঃ হাই এর ছেলে মাসুদকে (১৯) মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) গোপালপুর উপজেলার সোনামুখী বাজার এলাকা হতে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামী রেশমি ও মাসুদের (১৯) দেওয়ার তথ্য মতে একই দিন বিকেল সাড়ে ৫টায় রামাইল গ্রামের পাশ্ববর্তী জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার বালিয়ামেন্দা এলাকার যমুনা নদীর পানির নিচ হতে নাঈম (১৯) এর লাশ উদ্ধার করা হয়। এই বিষয়ে মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) ভূঞাপুর থানায় একটি হত্য মামলা করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পূর্ব প্রেম ঘটিত কারণে নাঈম (১৯) হত্যার সাথে জড়িত থাকার বিষয়ে নিজেদের দোষ স্বীকার করে। উপরোক্ত আসামী বিচারর্থে আদালতে প্রেরণ করা হলে আসামীদের ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারা মোতাবেক নিজেদের দোষ স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। পরবর্তীতে আদালত আসামীদেরকে টাঙ্গাইল জেলহাজতে প্রেরণ করেন।