টাঙ্গাইলে শীতের আগমনে লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা

টাঙ্গাইল টাঙ্গাইল সদর লিড নিউজ

জাহিদ হোসেন ॥
শীতের আগমনী বার্তায় টাঙ্গাইল জেলায় লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কারিগররা। শীত নিবারণের প্রস্তুতি হিসেবে লেপ তোষক বানাতে ক্রেতারাও ভিড় করছে দোকানগুলোতে। অনেকেই আবার ব্যস্ত নিজের পুরনো লেপ-তোষক মেরামতে।
টাঙ্গাইল শহরের তুলাপট্টি এলাকার ব্যবসায়ী ও কারিগররা জানান, করোনা পরিস্থিতির কারণে গত কয়েক বছরের তুলনায় এবারের শীতে লেপ-তোষকের চাহিদা কম। তাছাড়াও এই অঞ্চলে এখনো ধান কাটা পুরোপুরি শেষ হয়নি। তাই গ্রামাঞ্চল থেকে লেপ-তোষকের চাহিদা তেমন আসছেনা। তবে শীত বাড়ার সাথে সাথে চাহিদা বাড়তে পারে এমনটাই আশা করছেন ব্যবাসায়ীরা। প্রচলিত রীতি অনুযায়ী পৌষ ও মাঘ মাস শীতকাল। তবে বাংলাদেশে কার্তিক মাসের মাঝামাঝি দিক থেকেই শীতের আগমনী বার্তা শুরু হয়। তাই শীত মোকাবিলায় প্রস্ততি হিসাবে ব্যবসায়ীরা গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী লেপ-তোষক তৈরি করে দোকানে মজুদ করে রেখেছেন।
টাঙ্গাইল জেলা, উপজেলা ও পৌর শহরের বিভিন্ন দোকানে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে শীতের প্রস্তুতির জন্য লেপ-তোষক বানাতে দোকানে ভিড় করছেন ক্রেতারা। কারিগররাও এসব তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এ বছর একটি লেপ তৈরি করতে ৮শ টাকা থেকে ১৫শত টাকা পর্যন্ত খরচ হচ্ছে। তোষক বানাতে খরচ পড়ছে ১ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩ হাজার টাকা। এক্ষেত্রে একটি লেপ বা তোষক তৈরিতে একজন কারিগর ১৫০ টাকা করে মজুরি পান।
পৌর শহরের সোহেল ম্যাট্রেসের কারিগর লিটন সাহা বলেন, একটি লেপ বা তোষক তৈরিতে একজন কারিগরের সময় লাগে ১ ঘণ্টা। এভাবে একজন কারিগর দিনে ৮ থেকে ১০টি লেপ বা তোষক তৈরির কাজ করে থাকেন। পৌর শহরের সিরাজ বেডিং স্টোরের মালিক রিয়াজ উদ্দিন বলেন, শীত মওসুমে তিন মাস কারিগররা যে হারে লেপ-তোষক তৈরির কাজ পান বছরের বাকি সময় তাদের এই কাজ থাকেনা। তখন তারা অন্য পেশায় নিয়োজিত হন। এ বছর কাজের চাহিদা কম থাকায় ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি কারিগরদেরও উপার্জন কমে গেছে। তবে শীত বাড়ার সাথে সাথে চাহিদা বাড়তে পারে।

 

১৫২ Views

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *