সাদ্দাম ইমন ॥
আগামী (৭ জানুয়ারী) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সামনে রেখে টাঙ্গাইলের ৮টি আসনে প্রার্থীরা নিজ নিজ প্রতীক পাওয়ার পর পরই আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিদিন ভোর সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিরামহীনভাবে চলছে প্রার্থী ও তাদের কর্মী সমর্থকদের প্রচারনা। এছাড়া দুপুর ২টা থেকে ৮টা পর্যন্ত ভোট চেয়ে চলছে প্রার্থীদের মাইকিং। এক প্রার্থীর প্রচার গাড়ি না যেতেই হাজির হচ্ছে আরেক প্রার্থীর প্রচার মাইক। প্রার্থীরা ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। শুধু তাই নয়, প্রতীক প্রদানের পরপরই প্রার্থীদের পোস্টার আর ব্যানারে ছেয়ে গেছে শহর ও গ্রামাঞ্চলের প্রতিটি অলিগলি। এক প্রকার পোস্টারের শহরে রূপ নিয়েছে পুরো টাঙ্গাইল জেলার ৮টি আসন। পোস্টার-ব্যানার প্রার্থীদের পরিচয় যেমন তুলে ধরছে। তেমনি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অবয়ব সৃষ্টি করেছে বলে মনে করছেন ভোটাররা।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, জেলা ও উপজেলা শহর ও গ্রামাঞ্চলের প্রধান প্রধান সড়ক ছাড়াও প্রতিটি অলিগলিতে প্রার্থীদের সাদা-কালো পোস্টারে ছেয়ে গেছে। দড়ি দিয়ে পোস্টার বেঁধে তা ঝুলানো হয়েছে রাস্তার ওপর। আবার নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত প্রার্থীদের সাদা-কালো ব্যানার লাগানো হয়েছে রাস্তার পাশে। লেমিনেটিং করা হয়েছে ঝুলন্ত পোস্টারগুলো। এর ফলে কুয়াশার পানিতেও নষ্ট হচ্ছে না পোস্টারগুলো। রাস্তা-ঘাটে নতুন করে পোস্টার সাটানোর জায়গা খুঁজে পাওয়াটা এখন দুস্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও সব প্রার্থীর পোস্টার-ব্যানারের দেখা মেলেনি। পোস্টারে থাকা কিছু প্রার্থী নতুন ভোটারদের কাছে অপরিচিত। ছবিতেই তাদের প্রথম দেখা যাচ্ছে। তবে পোস্টার-ব্যানার নয়, যোগ্য প্রার্থী দেখেই ভোট দিবেন ভোটাররা। এমনটিই দাবি ভোটারদের। এদিকে এখন পর্যন্ত তেমন বড় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার খবর না পাওয়া গেলেও, মোটরসাইকেল মহড়া দেওয়াসহ বিভিন্নভাবে আচরণবিধি ভঙ্গ করার অভিযোগ রয়েছে।
তবে নির্বাচনী পরিবেশ বজায় রাখতে প্রশাসনিক নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের তৎপরতা বাড়াচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। সেইসঙ্গে নির্বাচনী বিধি মেনে চলার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তারা। টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা কায়ছারুল ইসলাম জানান, সবাই নির্বাচনী আচরণ বিধি মেনে চলবেন। আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে সচেষ্ট থাকবো। যেটা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। তিনি বলেন, নির্বাচনে অপরাধ রোধ এবং আচরণ বিধি প্রতিপালনের জন্য বিজিপি মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন।
নির্বাচনী পোস্টারে ছেয়ে গেছে গোটা টাঙ্গাইল জেলা
২৬৫ Views