আব্দুল লতিফ, ঘাটাইল ॥
শীতকালীন সবজীর মধ্যে অন্যতম একটি সবজী হচ্ছে শিম। শীতকালীন সময়ে যেকোন তরকারীতে শিম ব্যবহার করলে তরকারী ম্বাদই বেড়ে যায় কয়েকগুন। টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার এখন বানিজ্যিকভাবে গড়ে উঠেছে শিমের বাগান। এ অঞ্চলের কৃষকরা চলতি মৌসুমে একেকজন কৃষক শিম বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা আয় করছেন। এতে করে এ অঞ্চলের দারিদ্রতা দূর হচ্ছে।
টাঙ্গাইলের সব উপজেলাতেই শীতকালীন সবজী শিমের চাষ হয়। তবে ঘাটাইল উপজেলার পাহাড়ী ও সমতল অঞ্চলে শিমে বানিজ্যিক চাষ হয়। এ অঞ্চলে চলতি শীতকালীন মৌসুমে শিমের ফলন ভালো হয়েছে। এতে করে কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। উপজেলার প্রায় প্রতিটি গ্রামেই চোখে পরে একাধিক শিম বাগান। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, কয়েক বছর আগেও এ অঞ্চলে স্বল্প পরিমানে শিমের চাষ হতো। এ অঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া শিম চাষের জন্য যথেষ্ঠ উপযোগী হওয়ায় প্রতিবছরই শিম বিক্রি করে লাভবান হয় কৃষকরা। অল্প খরচ ও অল্প পরিশ্রমে অধিক লাভবান হওয়ায় এ অঞ্চলে বাড়তে থাকে শিম চাষের পরিধি। শিক্ষিত বেকার যুবক শ্রেনীও এখন ঝুকে পড়েছেন শিম চাষে। অন্য বছরের মতো এ বছরও শিম বিক্রি করে একেকজন কৃষক লাখ লাখ টাকা আয় করছেন। এতে করে দরিদ্র কৃষক পরিবারগুলো আর্থিকভাবে সচ্ছল হচ্ছেন।
শিম চাষী ও পাইকাররা বলেন, এ অঞ্চলে উৎপাদিত শিমের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে বাজারে। পাইকাররা বাগান থেকে কৃষকদের কাছ থেকে শিম কিনে নিয়ে রাজধানী ঢাকা ও নারায়নগঞ্জের বিভিন্ন বাজারে সরবরাহ করছেন। সরকারী সহযোগিতা আরো বাড়ানো গেলে, সুষ্ঠ বাজার ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা ও ১২ মাস চাষ যোগ্য শিমের জাত উৎভাবন করা গেলে এ অঞ্চলে সারা বছরই শিম চাষ করা যাবে বলে মনে করেন কৃষকরা।
এ বিষয়ে ঘাটাইল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দিলশাদ জাহান জানান, এ অঞ্চলে স্থানীয় জাতের পাশাপাশী উচ্চ ফলনশীল বারি ১, বারি ২, ইফশা ১, ইফশা ২ জাতের শিম চাষ হচ্ছে। উপজেলায় এ বছর ১৪৫ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের শিমের চাষ হয়েছে। কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের সার্বক্ষনিক সহযোগিতা করা হচ্ছে।