জাহিদ হাসান ॥
তীব্র শীতকে উপেক্ষা করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইলের ৮টি আসনের প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারণা শেষ করেছেন শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সকাল ৮টার সময়। গত (১৮ ডিসেম্বর) প্রতিক বরাদ্দের পর থেকেই প্রার্থীদের পদচারণে মুখরিত হয়ে উঠেছিল টাঙ্গাইল শহর ও গ্রামের জনপদ। প্রার্থীদের প্রচারণা শেষে এখন অপেক্ষা আগামী (৭ জানুয়ারি) বহু কাঙ্খিত ভোটের দিনের জন্য। এ দিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে কয়েকজন ভোটারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রচন্ড শীত উপেক্ষা করে দিন-রাত নিজ নিজ এলাকার এমপি প্রার্থীরা জোরেশোরে গণসংযোগ ও প্রচারণা চালিয়েছেন। দলীয় ও স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থীরা দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে ছুটে বেড়িয়েছেন এক মহল্লা থেকে আরেক মহল্লায়।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) রাতে টাঙ্গাইল সদর উপজেলা, হুগড়া, কাতুলী, মাহমুদ নগর, ঘারিন্দা, গালা, কাকুয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়, সরগরম হয়ে উঠেছে হাটবাজার ও চায়ের দোকানগুলো। চলছে এমপি প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণা। পাশাপাশি চায়ের আড্ডায় প্রার্থীদের ভালোমন্দ নিয়েও আলোচনা হচ্ছে। এ সময় মনির (৩২), আরিফ হোসেন (৩৫), বিপ্লব তালুকদারসহ (২৮) কয়েকজন ভোটার বলেন, মুখে প্রতিশ্রুতির যতই ফুলঝুরি ফুটুক না কেন, তাঁরা যোগ্য প্রার্থীকেই ভোট দেবেন। আমরা টাঙ্গাইল সদর উপজেলা ভোটাররা অনেক সচেতন। তাঁদের বাড়িতে বাড়িতে যাওয়ার সুযোগে তাঁরা আদায় করে নিচ্ছেন প্রতিশ্রুতি। তিনি শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষা ও পুনর্বাসনে কাজ করবেন।
আওয়ামী লীগের মনোনিত (নৌকা) প্রতিকের প্রার্থী, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মামুন অর রশিদ বলেন, প্রচারণা শেষে সময় খুবই কম, নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে ব্যস্ততা তত বেড়ে যাচ্ছে। প্রতিটি ভোটারের দ্বারে দ্বারে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছি। টাঙ্গাইল সদর উপজেলাবাসীর প্রধান সমস্যা চিহ্নিত করেছি। জনগন আমাকে একটি বারের জন্য সুযোগ দিলে মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে কাজ করবো।
স্বতন্ত্র (ঈগল) প্রতিকের প্রার্থী ও টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছানোয়ার হোসেন বলেন, তীব্র শীতের মধ্যে নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে দিন-রাত প্রচারণা চালিয়েছি। সদর উপজেলার উন্নয়নে ছোয়া সব এলাকায় লেগেছে। সদর উপজেলাবাসী আমাকে তৃতীয়বারের মতো যদি ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে তাহলে আমি বাকি কাজগুলো করবো।