স্টাফ রিপোর্টার ॥
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের নেয়া কঠোর নিরাপত্তা ও ভোটারদের ব্যাপক অংশগ্রহণের মধ্যদিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল জেলার আটটি সংসদীয় আসনে সোমবার (৭ জানুয়ারি) ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রতিটি কেন্দ্রে কেন্দ্রে পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে গেছে। সকাল থেকেই প্রতিটি ভোটকেন্দ্রেই নারী-পুরুষ ভোটারদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি আরো বাড়বে। উৎসবমুখর পরিবেশে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোটাররা পছন্দের প্রার্থীকে ভোট প্রদান করছেন। সকাল আটটা হতে শুরু হওয়া ভোট গ্রহণ চলবে একটানা বিকেল চারটা পর্যন্ত। এদিকে, নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে পুরো নির্বাচনী এলাকায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব, পুলিশ, আনসারসহ পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত টহলে আছে। এ পর্যন্ত কোন আসনের কোথাও অপ্রীতিকর কোন ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
বিভিন্ন বয়সী নানা শ্রেণি-পেশার ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘদিন পর ভোট দেওয়ার সুযোগ পেয়ে অনেকেই কেন্দ্রে এসেছেন। তবে টাঙ্গাইলে হালনাগাদ তালিকার এক লাখ ৭৭ হাজারের বেশি নতুন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগে উন্মুক্ত হয়ে রয়েছেন। ভোটাররা প্রকাশ্যে মুখ না খুললেও তারা ইতোমধ্যে পছন্দের প্রার্থী বেছে নিয়েছেন। জেলায় বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর ভোট বর্জনের কর্মসূচি চলমান থাকলেও তার বিশেষ কোন প্রভাব পড়েনি। তবে তাদের নেতা ও কর্মী ভোটকেন্দ্রে না এলেও বহু সমর্থক ভোট কেন্দ্রে ভোট দিতে দেখা গেছে।
টাঙ্গাইল জেলা রির্টানিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আটটি সংসদীয় আসনে ৫৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আটটি আসনে মোট ভোটার রয়েছেন ৩১ লাখ ৪৬ হাজার ৬৭২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছেন ১৫ লাখ ৭৭ হাজার ৩০৩ জন, নারী ভোটার রয়েছেন ১৫ লাখ ৬৯ হাজার ৩৪৯জন এবং ৩য় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ২০ জন। মোট ভোট কেন্দ্র রয়েছে ১হাজার ৫৬ টি। মোট ভোট কক্ষ রয়েছে ৬ হাজার ৮৯০টি। এরমধ্যে স্থায়ী ভোট কক্ষ ৬ হাজার ৪০৭টি এবং অস্থায়ী ভোট কক্ষ রয়েছে ৪৮৩টি।
জেলার ১২০টি ইউনিয়ন, ১১টি পৌরসভা ও একটি ক্যান্টনমেণ্ট বোর্ডের ৩১ লাখ ৪৬ হাজার ৬৭২জন ভোটার রয়েছে। নর্বিাচনে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোটের জন্য জেলায় ১২ প্লাটুন সেনাবাহিনী, ১৪ প্লাটুন বিজিবি, ১২ প্লাটুন র্যাব সদস্য দায়িত্ব পালন করছে। এছাড়াও ১২ হাজার ৬৭২ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। এর বাইরে প্রতিটি কেন্দ্রে তিনজন পুলিশ সদস্য ও ১৫ জন আনসার সদস্য মোতায়েন রয়েছে। পুলিশের মোবাইল টিম থাকবে ৭৬টি আর স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকছে ২৪টি। বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি ৪৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন।