মুরাদ সিদ্দিকী পঞ্চমবারের মতো নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন

টাঙ্গাইল টাঙ্গাইল সদর টাঙ্গাইল স্পেশাল রাজনীতি লিড নিউজ

জাহিদ হাসান ॥
টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে হেভিওয়েট প্রার্থী মুরাদ সিদ্দিকী পঞ্চমবারের মতো নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল জেলার আটটি সংসদীয় আসনে সোমবার (৭ জানুয়ারি) ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সকাল থেকেই উৎসবমুখর পরিবেশে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রেই নারী-পুরুষ ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট প্রদান করেছেন। সকাল আটটা হতে শুরু হওয়া ভোট গ্রহণ চলে একটানা বিকেল চারটা পর্যন্ত।
এবার দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে স্বতন্ত্র (মাথাল) প্রতিকের হেভিওয়েট প্রার্থী মুরাদ সিদ্দিকী ২০ হাজার ৭৯০ ভোট পেয়ে এবারও তৃতীয় হয়েছেন। এর আগে মুরাদ সিদ্দিকী বিগত ২০০১ সালে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রার্থী হিসেবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথম অংশ নেন। সেই নির্বাচনে তিনি তৃতীয় হন। পরে ২০০৮ সালের নির্বাচনে তিনি একই দল থেকে প্রার্থী হন। সেবারও নির্বাচনে তিনি তৃতীয় হন। এরপর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের রাজনীতি ছেড়ে দেন। এরপর বিগত ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। বিগত ২০১৪ সালের নির্বাচনে মুরাদ সিদ্দিকী দ্বিতীয় হন। বিগত ২০১৮ সালের নির্বাচনে তিনি তৃতীয় হন। আর সর্বশেষ ২০২৪ সালের সংসদ নির্বাচনে মুরাদ সিদ্দিকী স্বতন্ত্র (মাথাল) প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আবারও তৃতীয় হন।
টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগের পদ–পদবি না থাকলেও তিনি আওয়ামী রাজনীতির সংস্পর্শে থাকার চেষ্টা করেছেন। এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) ও টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। কিন্তু মনোনয়ন না পেয়ে টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে (মাথাল) প্রতিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন।
জেলা রিটার্নিং অফিস সূত্রে টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের চুড়ান্ত বেসরকারীভাবে ঘোষিত ফলাফলে জানা যায়, এ আসনে স্বতন্ত্র (ঈগল) প্রতীকের প্রার্থী ছানোয়ার হোসেন জয়লাভ করেছেন। তিনি ৭২ হাজার ২৭৬ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগের মনোনীত (নৌকা) প্রতিকের প্রার্থী মামুন অর রশিদ পেয়েছেন ৬৫ হাজার ৮৬৭ ভোট। স্বতন্ত্র (মাথাল) প্রতিকের প্রার্থী মুরাদ সিদ্দিকী পেয়েছেন ২০ হাজার ৭৯০ ভোট। জাতীয় পার্টি (লাঙ্গল) প্রতিকের প্রার্থী মোজাম্মেল হক পেয়েছেন ৫ হাজার ১৯১ ভোট। স্বতন্ত্র (কেটলী) প্রতিকের প্রার্থী খন্দকার আহসান হাবিব পেয়েছেন ১ হাজার ৫৮৪ ভোট। বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (একতারা) প্রতিকের প্রার্থী হাসরত খান ভাসানী পেয়েছেন ১ হাজার ৫৪ ভোট। বিএনএম (নোঙ্গর) তৌহিদুর রহমান চাকলাদার পেয়েছেন ৬৫৭ ভোট। তৃনমূল বিএনপি (সোনালী আশঁ) প্রতিকের প্রার্থী শরিফুজ্জামান খান পেয়েছেন ৩১৪ ভোট। স্বতন্ত্র (ট্রাক) প্রতিকের প্রার্থী জামিলুর রহমান মিরন পেয়েছেন ৯৭ ভোট।
এ আসনে ১৩০টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৩০টি কেন্দ্রেরই ফলাফল ঘোষিত হয়েছে। এসব কেন্দ্রে সর্বমোট ভোটার ৪ লাখ ৩৪ হাজার ১৯৪ ভোট। এর মধ্যে ভোট পড়েছে ১ লাখ ৭০ হাজার ৭৪৮ ভোট। বৈধ ভোট পড়েছে ১ লাখ ৬৭ হাজার ৮৩০ ভোট। বাতিল হয়েছে ২ হাজার ৯১৮ ভোট। প্রদত্ত ভোটের শতকরা হার ৩৯%। এ আসনের স্বতন্ত্র (ট্রাক) প্রতীকের প্রার্থী ছানোয়ার হোসেন তার নিকটতম প্রার্থীর থেকে ৬ হাজার ৪০৯ ভোট বেশী পেয়ে জয়লাভ করেছেন।

 

 

 

 

২৪৯ Views

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *