হেভিওয়েট প্রার্থী কাদের সিদ্দিকী নির্বাচনে হেরেছেন পিতা ও পুত্রের কাছে

টাঙ্গাইল টাঙ্গাইল স্পেশাল বাসাইল রাজনীতি লিড নিউজ সখিপুর

সাদ্দাম ইমন ॥
টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে হেভিওয়েট প্রার্থী কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি (গামছা) প্রতিকের প্রার্থী বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম এবার নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল জেলার আটটি সংসদীয় আসনে সোমবার (৭ জানুয়ারি) ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সকাল থেকেই উৎসবমুখর পরিবেশে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রেই নারী-পুরুষ ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট প্রদান করেছেন। সকাল আটটা হতে শুরু হওয়া ভোট গ্রহণ চলে একটানা বিকেল চারটা পর্যন্ত।
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি (গামছা) প্রতিকের প্রার্থী বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী টাঙ্গাইল-৮ (সখীপুর-বাসাইল) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত (নৌকা) প্রতীকের প্রার্থী অনুপম শাহজাহান জয়ের সঙ্গে। অনুপম শাহজাহান জয় ৯৬ হাজার ৪০১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি কাদের সিদ্দিকী পেয়েছেন ৬৭ হাজার ৫০১ ভোট। বিজয়ী অনুপম শাহজাহান জয় এ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কৃষিবিদ শওকত মোমেন শাহজাহানের ছেলে। বিগত ২০১৪ সালে শওকত মোমেন শাহজাহানের মৃত্যুর পর অনুপম শাহজাহান জয় উপনির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। কাদের সিদ্দিকী এ আসন থেকে বিগত ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন। এর আগে পিতা শওকত মোমেন শাহজাহানের কাছে হারার পর ছেলে অনুপম শাহজাহান জয়ের কাছেও পরাজিত হলেন হেভিওয়েট প্রার্থী কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের (গামছা) প্রতীকের প্রার্থী ও দলটির সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম।
এর আগে ১৯৮৬, ১৯৯৯ (উপ-নির্বাচন), ২০০৮, ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হন শওকত মোমেন শাহজাহান, ২০১৪ সালের (উপ-নির্বাচনে) অনুপম শাহজাহান জয় বিজয়ী হন। এদিকে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।
জেলা রিটার্নিং অফিস সূত্রে টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসনের চুড়ান্ত বেসরকারীভাবে ঘোষিত ফলাফলে জানা যায়, এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত (নৌকা) প্রতিকের প্রার্থী অনুপম শাহজাহান জয় জয়লাভ করেছেন। তিনি ৯৬ হাজার ৪০১ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি পেয়েছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের (গামছা) প্রতীকের প্রার্থী বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী ৬৭ হাজার ৫০১ ভোট। তৃনমুল বিএনপি (সোনালী আশঁ) প্রতিকের প্রার্থী পারুল পেয়েছেন ৫৬৯ ভোট। জাতীয় পার্টি (লাঙ্গল) প্রতিকের প্রার্থী রেজাউল করিম পেয়েছেন ৪৬৯ ভোট। বিকল্পধারা বাংলাদেশ (কুলা) প্রতিকের প্রার্থী আবুল হাসেম পেয়েছেন ২১৭ ভোট। বাংলাদেশ কংগ্রেস (ডাব) প্রতিকের প্রার্থী মোস্তফা কামাল পেয়েছেন ১০৯ ভোট।
এ আসনে ১২৭টি কেন্দ্রের মধ্যে ১২৭টি কেন্দ্রেরই ফলাফল ঘোষিত হয়েছে। এসব কেন্দ্রে সর্বমোট ভোটার ৩ লাখ ৯০ হাজার ১১৯ ভোট। বৈধ ভোট পড়েছে ১ লাখ ৬৫ হাজার ২৬৬ ভোট। প্রদত্ত ভোটের শতকরা হার ৪২.৩৬%। এ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনীত (নৌকা) প্রতিকের প্রার্থী অনুপম শাহজাহান জয় তার নিকটতম প্রার্থীর থেকে ২৮ হাজার ৯০০ ভোট বেশী পেয়ে জয়লাভ করেছেন।

 

 

 

 

২৪০ Views

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *