সাদ্দাম ইমন ॥
টাঙ্গাইলে জেঁকে বসেছে শীত। বাজার ভরে উঠছে শীতকালীন শাক-সবজিতে। তবে ভরা মৌসুমেও চড়া সবজির দাম। এতে সবজি কিনতে গিয়ে বিপাকে পড়ছেন সাধারণ ক্রেতারা। তারা জানান, দামের কারণে সবজি ছুঁয়ে দেখতেও ভয় লাগছে। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) টাঙ্গাইলের বেশকয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহ ব্যবধানে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে সবজির দাম। মূলত দাম বাড়ার পেছনে সরবরাহ সংকটকে দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা।
বাজারের সবজি বিক্রেতা সাইফুল বলেন, শীতকালে প্রতিবছরই সবজির দাম কমে। কিন্তু এবার বাড়ছে। মূলত নির্বাচন ও হরতাল-অবরোধের কারণে পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল কমেছে। এতে সরবরাহ কমায়, দাম বাড়ছে সবজিসহ অন্যান্য পণ্যের। হাজার টাকার বাজারেও ভরছে না ব্যাগ। ক্রেতাদের দাবি, ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়াচ্ছে শাক-সবজির। শীতকালে সবজির দাম বাড়ার কোনো কারণে নেই। মিথ্যা অজুহাত আর সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি ভোক্তারা। মিনহাজ আবেদীন নামে এক ক্রেতা জানান,
শীতকালে শিম, বেগুন, গাজরসহ অন্যান্য সবজির দাম ৪০ টাকার নিচে থাকার কথা। কিন্তু সেগুলোর সবই এখন ৫০ টাকার ওপরে। সবজির এই ঊর্ধ্বমুখী দামে এখন সবজি ছুঁয়ে দেখতেও ভয় লাগছে। আরেক ক্রেতা মহসিন জানান, শীতকালে সবজির দাম বাড়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। দাম বাড়ার পেছনে ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট কাজ করছে। সরকার নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করলে দাম কমে যেত। কিন্তু নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হয় না।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, করলা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, প্রতি কেজি মুলা ২৫ থেকে ৩০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৮০ টাকা, শালগম ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, লতি ৮০ থেকে ৯০ টাকা, শিম ৬০ থেকে ৮০ টাকা, ব্রকলি পিস ৫০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, পেঁপে ২৫ থেকে ৩০ টাকা ও গাজর ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি বেগুন জাতভেদে ৫০ থেকে ৮০ টাকা, পটোল ৭০ থেকে ৮০ টাকা, পুরান আলু ৭০ থেকে ৭৫ টাকা, নতুন আলু ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, টমেটো ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কহি ৫০ টাকা, কাঁচা টমেটো ৩০ টাকা ও পেঁয়াজের কলি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। আর প্রতি পিস লাউ ৭০ থেকে ১০০ টাকা, আকারভেদে ফুলকপি ৩০ থেকে ৫০ টাকা ও বাঁধাকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে পাইকারি ও খুচরা উভয় পর্যায়ে কমেছে কাঁচা মরিচের দাম। বাজারে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকায়; আর পাইকারি পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকায়। এছাড়া বাজারে লালশাকের আঁটি ১৫ টাকা, পুঁইশাক ২৫ টাকা, পালংশাক ১০ টাকা ও লাউ শাক ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।