স্টাফ রিপোর্টার, মির্জাপুর ॥
টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভ মাদকের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। তিনি বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) বিকেলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিজের ফেসবুক আইডিতে লিখেছেন, ‘মির্জাপুরে মাদকের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স ঘোষণা। দল বুঝি না, আত্মীয় স্বজন বুঝি না, মাদকের সাথে জড়িত থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ওসি কে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।’ তিনি ফেসবুকে এই বক্তব্য লিখে মির্জাপুরকে মাদকের বিষয়ে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেন।
এছাড়া তিনি ‘মির্জাপুরে অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনকে নির্দেশনা প্রদান’ লিখে নিজ ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। বুধবার (১০ জানুয়ারি) খান আহমেদ শুভ শপথ নেয়ার পর ‘মাদক, সন্ত্রাস, ইভটিজিং, দালাল, ভূমিদস্যু মুক্ত স্মার্ট মির্জাপুর গড়তে সকলের সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন’ লিখে তিনি তার ফেসবুক আইডিতে স্ট্যাটাস দেন।
বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, মির্জাপুর উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১৪ ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে হাত বাড়ালেই মিলছে মাদক। পৌর এলাকার মুসলিম পাড়া, সাহাপাড়া, পোষ্টকামুরী, সরিষাদাইড়, বামইহাটী, বাওয়ার কুমারজানি রোড, কুতুববাজার, আন্ধরা ও পাহাড়পুর গ্রামে দেদারসে মাদক বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। মাদক ব্যবসায়ীরা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মদ, গাঁজা, ফেনসিডিল, ইয়াবা এনে নিজ বাড়িতে ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে রেখে বিক্রি করছেন। এছাড়া এলাকায় ঘুরে ঘুরে এসব মাদক বিক্রি করে থাকেন। ওই এলাকায় এখন হাত বাড়ালেই মিলছে মাদক। সঙ্গ দোষে স্কুল কলেজের ছাত্রসহ এলাকার উঠতি বয়সের যুব সমাজ ক্রমান্বয়ে মাদক সেবনে ঝুকছে বলে অভিযোগ রয়েছে। নেশার টাকা জোগাড় করতে তারা বাবা-মাকে নির্যাতনসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। এলাকার কেউ এর প্রতিবাদ করলে তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। এছাড়া ভাড়া করা মাদকসেবী সন্ত্রাসী দিয়ে নানা ধরনের হুমকি ধামকিও দেয়া হয় বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। তারা যুব সমাজকে মাদকের করাল গ্রাস থেকে রক্ষার জন্য সুদৃষ্টি কামনা করেন।
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিমের নেতৃত্বে মির্জাপুর থানায় কর্মরত পুলিশ সদস্যরা খান আহমেদ শুভর সঙ্গে উপজেলা সদরের সৈয়দ টাওয়ারের বাসায় সাক্ষাত করতে গেলে মাদকের করাল গ্রাস থেকে যুব সমাজকে রক্ষার নির্দেশনা দেন।
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম বলেন, এমপি মহোদয়ের সঙ্গে পুলিশও একমত। মাদক বিক্রেতাদের গ্রেপ্তারে প্রতিদিন পুলিশের অভিযান চলছে। গত মাসে কমপক্ষে ২৫ মাদক বিক্রেতা ও সেবনকারীকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। মাদকের সাথে জড়িত প্রভাবশালী ব্যক্তির আত্মীয়-স্বজন হলেও ছাড় দেয়া হবে না বলে তিনি জানান।
মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাকিলা বিনতে মতিনের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, মাদক, সন্ত্রাস ও অবৈধ মাটি ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।