আব্দুল লতিফ, ঘাটাইল ॥
যে মানুষ ইউনিয়নে সফল সে মানুষ উপজেলায়ও সফল হয়। মানুষের মনের আস্থা অর্জনে যুগ যুগ পার হয়ে যায় কারও কারও, আবার মাত্র অল্প কিছুদিনেও মানুষের মধ্যমনি হওয়া সম্ভব শুধুমাত্র আস্থা বিশ্বাস আর গরীবের ভাগ্যেন্নয়নের কাজের মাধ্যমে। সমাজে মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করা করতে কোন দল বা রাজনৈতিক পরিচয় লাগেনা, নেতা হওয়া লাগেনা। কথায় আছে মানব সেবাই পরম ধর্ম। সেই ধর্মই পালন করে সমাজে অনেক মানুষের হৃদয় নিঙ্গরানো ভালোবাসা পেয়ে এগিয়ে যায়। মানব সেবার চেতনাকে হৃদয়ে লালন করেই মানবতার কল্যাণে ঝাঁপিয়ে পড়ে মহৎ হৃদয়ের মানুষগুলি। ঠিক তেমনই একজন সহজ সরল সংগ্রামী গরীব দুখি মেহনতি মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলার ৮ নং দেওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রুহুল আমিন আকন্দ (হেপলু)। তিনি একজন ক্লিন ইমেজের মিষ্টভাষী, পরোপকারী, সাধারণ জনগণের আস্থার প্রতীক, তারুণ্যের অহংকার, সুযোগ্য নেতৃত্বের অধিকারী।
১৯৮৮ সালের ১০ অক্টোবর দেওপাড়া ইউনিয়নের কাপাসিয়া গ্রামের মুসলিম পরিবারে জন্ম তার। তার পিতার নাম জহির উদ্দিন এবং মাতার নাম রহিমা বেগম। স্থানীয় হরিণাচালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তার পড়ালেখার হাতে খড়ি। তারপর ভাবনদত্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে পঞ্চম শ্রেণি এবং ভাবন দত্ত গণ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০০৬ সালে এসএসসি পাস করেন। তারপর তিনি পার্শ্ববর্তী কালিহাতী উপজেলায় অবস্থিত শাজাহান সিরাজ কলেজে ভর্তি হন। সাংসারিক অভাব অনটনের কারণে নিয়মিত কলেজে ক্লাস করা, বই কলম কেনা এসবের কোনটাই সামর্থ্য ছিল না তার। অর্থ সংকটে কলেজের গন্ডি পেরোতে পারেনি বর্তমান শিক্ষা বান্ধব এই জনদরদি চেয়ারম্যান। পারিবারিক অস্বচ্ছলতার কারনে পড়াশুনা না করতে পারার কোন আক্ষেপ নেই তার মধ্যে শুধু রয়েছে এক চাপা কষ্ট। তার বয়সের সবাই যখন কলেজে লেখাপড়া করছে ঠিক তখনই তিনি পরিবারের সুখের হাল ধরতে পিতা মাতা ভাই বোন সবাইকে ছেড়ে পাড়ি জমান সূদুর মালদ্বীপে। প্রবাসে চার বছর চাকরি করার পর ২০১০ সালে তিনি দেশে ফিরে আসেন। দেশে ফিরে এলাকার জনগণের সাহায্যার্থে বাড়িয়ে দেন হাত। উপার্জিত অর্থ ব্যায় করেন এলাকাবাসীর কল্যাণে। আস্তে আস্তে একালাবাসীর মধ্যমনিতে রুপান্তর হন তিনি। তিনি সর্বদা চিন্তা করেন তার এলাকাবাসীর কথা, কিভাবে তাদের উন্নয়ন কল্যানে বিপুল অর্থ সম্পদ অর্জন করে ব্যয় করা যায়। সুদুর প্রবাস থেকেও তার এলাকার মানুষের কল্যাণে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। নিজেকে বিলিয়ে দেন মানব কল্যাণে। বিদেশে অবস্থানকালীন সময়ে ধর্মভীরু এই বর্তমান চেয়ারম্যান হেপলু গ্রামবাসীর সহযোগিতায় ৩০ লক্ষ টাকা ব্যয় করে নিজ গ্রামে দৃষ্টিনন্দন মসজিদ নির্মাণ করেন। এমন একটি মসজিদ পেয়ে এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসুল্লীগণ চেয়ারম্যান রুহুল আমিন এর সুস্থতা মঙ্গলের জন্য দোয়া করেন। সর্বদা জনকল্যাণে কিভাবে কাজ করা যায় এই বাসনা নিয়ে তিনি ২০২১ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেন। নির্বাচনে তিনি নয় জন হেবিওয়েট বাঘা বাঘা প্রার্থীর সাথে আনারস প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জনভোটে ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
নির্বাচিত হয়ে শত বাধা প্রতিকূলতার মাঝেও তিনি এলাকার উন্নয়নে কাঁচা রাস্তা, পাকা রাস্তা, কাঠের ব্রিজ, কালভার্ট ড্রেন সংস্কারসহ কোটি টাকার কাজ সম্পন্ন করেছেন। রাস্তায় চলাচলের স্বাধীনতা, বিচার ব্যবস্থার উন্নয়ন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবায় বিশেষ অবদান, সামাজিক উন্নয়নসহ বিভিন্ন দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে নিজের মুখ উজ্জ্বল করেছেন। ইউনিয়নের আলোকিত মুখ হিসেবে পরিচিত, নিজের সাফল্যের কারণে বিভিন্ন সংগঠন কর্তৃক নানা ভাবে প্রশংসিতও হয়েছেন। অসংখ্য মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল ও বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের দাতা। ব্যক্তি জীবনে তিনি অত্যন্ত নম্র, ভদ্র, সদাহাস্যোজ্জ্বল ও সাদা মনের মানুষ। তাঁর মাঝে কোন অহংকার নেই। ছোট বড় সকলের বন্ধু, দলমত নির্বিশেষে আজ সকলের কাছে প্রিয়। তার উন্নয়ন কর্মকান্ডে এলাকাবাসী প্রসন্ন হয়ে তাকে এবার আসন্ন উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচনে অংশগ্রহনের জন্য উৎসাহ উদ্দিপনা দিয়ে যাচ্ছে। জনভালোবাসায় সিক্ত উন্নয়নবান্ধব এই চেয়ারম্যান এবার সকলের সহোযোগীতায় আসন্ন ঘাটাইল উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচনে অংশগ্রহন করার প্রত্যয় প্রকাশ করেছেন। এলাকাবাসীর ভাষ্যমতে একজন সহজ সরল মানুষ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মানুসের আস্থা ভালোবাসায় যেহেতু বাঘা বাঘা পদপ্রাথীদের হারিয়ে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে এলাকার উন্নয়ন এলাকাবাসীর সুখে দুঃখে পাশে ছিলেন তিনি আসন্ন উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচনে অংশগ্রহন করলে বিপুলভোটে নির্বাচিত হয়ে আসবেন নিশ্চই।
রুহুল আমিন আকন্দ হেপলু আসন্ন উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, আমি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচনে শুধুমাত্র জনগনের আস্থা ভালোবাসা আর আমার দেয়া ওয়াদা পুরন করেছি। মানুষের ভালোবাসা অর্জন করেছি। শুধু মুখে মুখে উন্নয়নের কথা বললে উন্নয়ন হয়না। কাজ করে দেখাতে হয়। আমি আমার ইউনিয়নের মানুষকে দেয়া কথা রেখেছে। তাইতো সবার সমর্থনে আর ভালোবাসায় আসন্ন উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হচ্ছি। মানুষ আমাকে আমার কাজকে মূল্যায়ন করে জয়যুক্ত করবে ইনশাআল্লাহ।