হাবিবুর রহমান, মধুপুর ॥
টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের নবনির্বাচিত এমপি ও আওয়ামী লীগের বহিস্কৃত সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছে মধুপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। রবিবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও শোলাকুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলী।
তিনি বলেন, ড. আব্দুর রাজ্জাক একজন সজ্জন, সুশিক্ষিত ও ভদ্র মানুষ। তিনি মধুপুর ও ধনবাড়ী থেকে নির্বাচিত পাঁচবারের এমপি। তিনি সফল খাদ্য ও কৃষিমন্ত্রী। তাকে নিয়ে কালিহাতীতে সড়ক অবরোধ করে প্রবীণ রাজনীতিক আবদুল লতিফ সিদ্দিকী যে মন্তব্য করেছেন, তা সম্পূর্ণ নিন্দনীয়। আমরা তার বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ইয়াকুব আলী বলেন, আমরা জেনেছি, কালিহাতী থানা-পুলিশ মামলার এজাহারভুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তার করে এনেছিল। তাদের ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকী তার অনুসারীদের নিয়ে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করেন। সেই সময় অকারণে ড. রাজ্জাক সম্পর্কে অসৌজন্যমূলক বক্তব্য দেন লতিফ সিদ্দিকী। তিনি আরও বলেন, কালিহাতীর মানুষ আবেগের বসে আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে ভোট দিয়ে এমপি নির্বাচিত করেছেন। আমরা ভেবেছিলাম, তিনি জনগণের সম্মান রক্ষার্থে নিজেকে পরিবর্তন করবেন। কিন্তু তিনি পরিবর্তন হননি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মধুপুর পৌরসভার মেয়র সিদ্দিক হোসেন খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ডা. মীর ফরহাদুল আলম মনি ও সাদিকুল ইসলাম সাদিক, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শরীফ আহমেদ নাসির, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান যষ্ঠিনা নকরেক প্রমুখ।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ৯ জানুয়ারি টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের নবনির্বাচিত এমপি আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর ৬ অনুসারীকে পুলিশ আটক করলে তাদের ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য লতিফ সিদ্দিকী সড়ক অবরোধ ও কালিহাতী থানা ঘেরাও করেন। ওই সময় তিনি সদ্য সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের সম্পর্কে নানা মন্তব্য করেন।