
নূর আলম, গোপালপুর ॥
অবাধে গাছপালা কেটে উজাড় করা হচ্ছে বন জঙ্গল। এক সময় টাঙ্গাইলের গোপালপুরের বিভিন্ন বাড়ির পিছনের বাঁশঝাড় বা জঙ্গলে সন্ধ্যায়, পাখির ঝাঁকের কলতানে কাজ শেষে ক্লান্ত হয়ে ফেরা মানুষের মনে প্রশান্তি ফিরতো। পাখির কিচিরমিচির শব্দে ঘুম ভাঙতো গ্রামের মানুষের। খাদ্য ও বাসস্থানের সমস্যার কারণে পাখির ঝাঁকের সেই নয়নাভিরাম দৃশ্য আর চোখেই পরে না।
মাঘ মাসের শুরুতেই কৃষকরা বোরো ধানের চারা লাগানোর প্রস্তুতি শুরু করেছে। জমিতে হালচাষের জন্য দেয়া নতুন সেচের পানি পেয়ে ধান কাটা জমি থেকে উঠে আসছে কীট পতঙ্গ। এগুলো খাওয়ার জন্য দল বেঁধে উৎসবমুখরভাবে জমিতে অবস্থান নিচ্ছে বক, কালো ফিঙে, শালিক, দোয়েল ইত্যাদি পাখি। উপজেলাজুড়ে সরেজমিনে এই দৃশ্য দেখা গেছে, এসব দৃশ্য দেখে খুশি কৃষরাও।
বনমালী গ্রামের কৃষক হারুন মিয়া বলেন, অনেক দিন পর এ রকম ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি দেখে ভালোই লাগছে। সেচে পানি দেয়ার সাথে সাথেই ওরা ক্ষেতে এসে বসে। জমি হাল বাওয়া শেষ হলে পাখিরা অন্য জমিতে গিয়ে বসে। জমিতে হাল চাষের টিলারের মালিক আলমগীর মিয়া বলেন, পাখিরা হাল বাওনের সময় খেতে আসে, আমরা ওদের কোন ক্ষতি করি না। স্থানীয় বাসিন্দা প্রকৃতিপ্রেমী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, খাদ্য ও বাসস্থানের অভাবে দেশীয় পাখি দিন দিন কমে আসছে। আগের মতো সকাল-সন্ধ্যা পাখির কিচিরমিচির শব্দ শুনতে ব্যক্তি উদ্যোগে বেশি বেশি পাখির অভয়ারণ্য তৈরি করা উচিৎ।
এদিকে পাখি শিকারিদের আইনের আওতায় এনে, পাখিদের অবাধ বিচরণের জন্য পাখির অভয়ারণ্য গড়ে তোলার জন্য পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের কাছে দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।