সাদ্দাম ইমন ॥
টানা শীতে টাঙ্গাইলে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এরই মধ্যে গত কয়েক দিন সূর্যের দেখা মেলেনি। এতে করে শীতের তীব্রতা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। হাড় কাঁপানো এ শীতে শিশু ও বয়োবৃদ্ধরা দুর্ভোগে পড়েছেন বেশি। শিশুরা ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, সর্দিজ্বর ও বয়ষ্ক লোকেরা শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হচ্ছেন। শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় বিভিন্ন হাটবাজারে বেড়েছে শীতের কাপড় কেনাকাটায় ধুম।
টানা শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে ছিন্নমুল মানুষজন। গত ৬ দিন ধরে সূর্যের দেখা মেলেনি এ জেলায়। ফলে গরম কাপড়ের চাহিদা বাড়ছে দরিদ্রদের মধ্যে। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। তীব্র শীতে যমুনা ও ধলেশ্বরীসহ বিভিন্ন নদীর চর এলাকায় আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে অসহায় পরিবারগুলো। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে সহায় সম্বলহীন হতদরিদ্র পরিবারগুলো। শীতের পুরনো গরম কাপড়ের দোকানে শুরু হয়েছে উপচেপড়া ভিড়। এছাড়া শীতজনিত রোগে বয়স্ক ও শিশুদের নিউমোনিয়া, হাঁপানি, ক্লোড ডায়রিয়া, কাশিতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।
অন্যদিকে শীতে কৃষিতেও বিরূপ প্রভাব পড়েছে। প্রচন্ড শীতে আলু ক্ষেতে পচানি রোগ দেখা দিয়েছে ও অনেক বোরো ধানের বীজতলার চারা হলুদ হয়ে গেছে। এদিকে সরকারিভাবে ইউনিয়ন পর্যায়ে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে। তবে তীব্র শীত উপেক্ষা করেও কৃষকরা কৃষি ক্ষেতের কাজ অব্যাহত রেখেছেন। বোরো ধানের বীজতলা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় পড়েছেন চাষিরা। কুয়াশা আর তীব্র শীতে নষ্ট হচ্ছে বোরোর বীজতলা। কৃষি বিভাগের পরামর্শে বীজতলা পলিথিন দিয়ে মুড়িয়ে রাখলেও উপকার না পাওয়ায় কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ছে তাদের। কৃষক মান্নান ও সাইফুল জানান, কুয়াশায় বেশিরভাগ বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। এবার চড়া দামে চারা কিনে ধানের আবাদ করা ছাড়া উপায় থাকবে না। বোরো বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। বীজতলা নষ্টের ব্যাপারে কৃষকরা বলেন, যেসব বীজতলা কুয়াশায় ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে সেগুলো জমিতে সেচ দিয়ে সারাদিন ভিজিয়ে রেখে বিকালে পানি বের করে দিতে হবে। এতে বীজতলার ক্ষতির আশঙ্কা থাকবে না।