
স্টাফ রিপোর্টার ॥
অতিরিক্ত ঘন কুয়াশায় টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের প্রায় ১৩ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে থেমে থেমে এবং ধীর গতির যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে তীব্র শীতের মধ্যে ভোগান্তিতে পড়ে যাত্রী ও চালকরা। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) ভোররাত থেকে মহাসড়কের বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব টোলপ্লাজা থেকে কালিহাতীর এলেঙ্গা পর্যন্ত এই যানজট সৃষ্টি হয়। পরে বেলা বাড়ার সাথে সাথে যানজট কমে আসে।
এদিকে, মহাসড়কের তীব্র যানজট নিরসনে এলেঙ্গা হাইওয়ে ও বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানা পুলিশ ও বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষের সদস্যরা কাজ করছেন। পরে সকাল সাড়ে ৯ টার পর থেকে মহাসড়কের কিছু কিছু অংশে যানজট কমে আসতে শুরু করে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, অতিরিক্ত ঘন কুয়াশার কারণে গভীর রাতে টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে পরিবহনগুলো এলোমেলোভাবে গাড়ি চালায় চালকরা। এর ফলে সেতুর পূর্ব থেকে কালিহাতীর এলেঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ১৩ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এসময় ঢাকা ও উত্তরবঙ্গগামী দূরপাল্লার যানবাহনগুলো ভূঞাপুর-এলেঙ্গা আঞ্চলিক মহাসড়ক দিয়ে চলাচল করেন।
পাবনাগামী ট্রাক চালক কামরুল ইসলাম বলেন, গভীর রাত থেকে ভোর সকাল পর্যন্ত অতিরিক্ত কুয়াশায়া ঢাকা পড়ে মহাসড়ক। এতে করে গাড়ি চালাতে খুব সমস্যার সৃষ্টি হয়। ফলে মহাসড়কে ভোর রাত থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত প্রায় ১৩ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে থেমে থেমে এবং ধীর গতির যানজটের সৃষ্টি হয়। এ সময় মহাসড়কে এক দেড় ঘন্টা ধরে বসে থাকতে হয়। এরপর ধীরে ধীরে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসে। রংপুরগামী বাসযাত্রী হাসান মিয়া ও আরিফুর রহমান বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে মহাসড়কে কিছু দেখা যায়নি। তারমধ্যে প্রচুর শীত। যার ফলে চালকরা খুব ধীরগতিতে গাড়ি চালাচ্ছে। এতে করে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেলস্টেশন এলাকার জোকারচর এলাকায় দীর্ঘসময় ধরে যানজটে বসে থাকতে হয়েছে।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ওসি) মীর মো. সাজেদুর রহমান বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পর্যন্ত ভোর রাত থেকে মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হতে থাকে। যানজট নিরসনে পুলিশ সদস্যরা কাজ করছে।
এদিকে, বঙ্গবন্ধু সেতুর সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল বলেন, ঘনকুয়াশা পড়লেও টোল আদায়ে কোন বিঘœ ঘটেনি। স্বাভাবিক সময়ের মতো টোল আদায় করা অব্যাহত আছে। টোলপ্লাজা এলাকায় ঘনকুয়াশায় গাড়ির গতির দৃষ্টিসীমা পরিমাপক বিশেষ যন্ত্র স্থাপন করা হয়েছে।