
স্টাফ রিপোর্টার ॥
টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ ও তার স্ত্রী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নাহার আহমেদের স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ স্মরণসভার আয়োজন করা হয়।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলামের জোয়াহেরের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির, জেলা আওয়ামী সহ-সভাপতি খন্দকার আশরাফউজ্জামান স্মৃতি, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সুভাষ চন্দ্র সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক জামিলুর রহমান মিরন, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র সিরাজুল হক আলমগীর, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মামুন অর রশিদ, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক এডভোকেট খোরশেদ আলম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক হোসেন মানিক, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ রৌফ প্রমুখ। এ সময় জেলা, উপজেলা, শহর ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আওয়ামী লীগ ও সহযোগি অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা ফারুক আহমেদ ও নাহার আহমেদের স্মৃতিচারণ করে বলেন, আমাদের সকলের আস্থার প্রতীক ফারুক আহমেদকে হত্যা করা হবে কখনও আমরা কল্পনা করি নাই। তার মতো আওয়ামী লীগে ত্যাগী ও প্রবীন রাজনীতিককে হত্যার ১১ বছরেও তার কোন বিচার হচ্ছে না। এ ঘটনায় যারা ঘটিয়েছে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা তাদের নাম প্রকাশ করেছেন। এ মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির দাবি জানান তারা।
প্রসঙ্গত, বিগত ২০১৩ সালের (১৮ জানুয়ারি) টাঙ্গাইল শহরের কলেজ পাড়া এলাকায় নিজ বাড়ির কাছ থেকে জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সদস্য ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়। তিন দিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদি হয়ে অজ্ঞাতদের আসামী করে টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। বিগত ২০১৪ সালে এই মামলায় জড়িত থাকা সন্দেহে আনিছুল ইসলাম রাজা এবং মোহাম্মদ আলী নামের দুইজনকে গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেপ্তার করে। আদালতে তাদের দেওয়া স্বীকারোক্তিতে এই হত্যা মামলার সঙ্গে টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা, তার অপর তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার তৎকালীন মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাঁকন এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের তৎকালীন সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পা’র জড়িত থাকার বিষয়টি বের হয়ে আসে।
তদন্ত শেষে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ বিগত ২০১৬ সালের (৩ ফেব্রুয়ারি) আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। এতে সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান’র চার ভাইসহ ১৪ জনকে আসামি করা হয়। এই মামলার আসামি আমানুর রহমান খান আত্মসর্মপণের পর তিন বছর কারাগারে ছিলেন। বর্তমানে তিনি জামিনে মুক্ত আছেন। পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি এখনও কারাগারে আছেন। অন্য দুই ভাই কাকন, বাপ্পা পলাতক রয়েছেন।
এদিকে গত বছরের (২৯ ডিসেম্বর) বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদের সহধর্মিনী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নাহার আহমেদ হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।