
স্টাফ রিপোর্টার, মির্জাপুর ॥
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে টিলার লাল মাটি ও গজারি গাছ কাটার বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মাসুদুর রহমান এই অভিযান পরিচালনা করেন। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) ভ্রাম্যমান আদালত উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়নের চান্দুলিয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় চান্দুলিয়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে কবীর হোসেনকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেন। এছাড়া গত বুধবার (২৪ জানুয়ারি) ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক উপজেলার তরফপুর ইউনিয়নের টাকিয়া কদমা এলাকায় অভিযান চালিয়ে আশিক শিকদার নামে এক মাটি ব্যবসায়ীকেও এক লাখ টাকা জরিমানা করে।
জানা গেছে, মির্জাপুর উপজেলার পাহাড়ি এলাকার আজগানা, বাঁশতৈল ও তরফপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে মাটি ব্যবসায়ীরা টিলার গজারি গাছ ও লাল মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করছেন। বিকেলে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মাসুদুর রহমান টাকিয়া কদমা এলাকায় সুজন ও শহিদুলের স্পটে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান চালান। এ সময় অভিযানে থাকা পুলিশের সদস্যরা আজগানার সৈয়দপুর এলাকার খলিলুর রহমানের ছেলে আশিক শিকদারকে আটক করেন। পরে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ২ মাসের কারাদন্ড দেন বিচারক।
অন্যদিকে উপজেলার ফতেপুর, ভাতগ্রাম, পৌরসভা, গোড়াই, বহুরিয়া, ভাওড়া, উয়ার্শী, আনাইতারা, জামুর্কী, বানাইল, লতিফপুর, মহেড়া ইউনিয়নের নদীর তীর, আবাদী জমির মাটি অর্ধশতাধিক ভেকু মেশিন দিয়ে কেটে পাঁচ শতাধিক ড্রাম ট্রাকে তা বিক্রি করছেন। এই বিপুল সংখ্যক ড্রাম ট্রাক চলাচলে উপজেলার পাকুল্যা-লাউহাটী, দেওহাটা-ধাঁনতাড়া, গোাড়াই-সখীপুর, ফতেপুর-কুরনী, বিলপাড়া-ধল্যা আঞ্চলিক সড়ক ও গ্রামের ভেতরের পাকা সড়কের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এছাড়া মাটির ট্রাক চলাচল বহুরিয়া, বানাইল, জামুর্কী ও তরফপুর ইউনিয়নের কয়েকটি স্থানে নদীতে বাঁধ দেয়া হয়েছে।
ভ্রাম্যমান আদালত দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) উপজেলার চান্দুলিয়া এলাকায় অভিযান চালান। আদালতের বিচারক চান্দুলিয়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে কবীর হোসেনকে এক লাখ টাকা পরিমানা করেন।
ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ও উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মাসুদুর রহমান অভিযানের কথা স্বীকার করে বলেন, বুধ ও বৃহস্পতিবার (২৪ ও ২৫ জানুয়ারি) উপজেলার টাকিয়া কদমা ও চান্দুলিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুই মাটি ব্যবসায়ীকে দুই লাখ টাকা জরিমান করা হয়েছে। অবৈধভাবে মাটি কাটা বন্ধে প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।