স্টাফ রিপোর্টার ॥
টাঙ্গাইলে উৎসব মুখর পরিবেশে তিন দিনব্যাপী পিঠা উৎসব শুরু হয়েছে। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে জেলা প্রশাসন ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির যৌথ উদ্যোগে এ পিঠা উৎসব শুরু হয়। পিঠা উৎসবে স্টলে স্টলে শোভা পাচ্ছিল বাঙালি ঐতিহ্যের নানা রকম পিঠার সমাহার। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য জামাই পিঠা, কাজু বরফি, জালি পিঠা, আমদশা, মেরা পিঠা, পাকন পিঠা, নুরের ঝাল পিঠা, পায়া পিঠা, পাটিসাপটা পিঠা, নকশি পিঠা, মাংস পিঠাসহ বিভিন্ন পিঠা স্থান পায়। হৈহুল্লার, আড্ডা এবং নাচ-গানে মেতে উঠেন অনেকেই। আশপাশের সাধারণ মানুষ এই উৎসব উপভোগ করেন।
পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ওলিউজ্জামান। জেলা কালচারাল অফিসার এরশাদ হাসানের সভাপতিত্বে আয়োজিত পিঠা উৎসবে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র সিরাজুল হক আলমগীর, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসান বিন মুহাম্মাদ আলী।
পিঠা বিক্রেতা আশা আক্তার বলেন, আমরা বিভিন্ন ধরনের পিঠা নিয়ে বসেছে। বাসায় তৈরি এসব পিঠা সবাই পছন্দ করছেন। আয়োজকদের কাছে দাবি প্রতিবছর যাতে এ ধরনের আযোজন করে। পিঠা উৎসবে আসা স্কুল শিক্ষার্থী অপেক্ষা আক্তার বলেন, পিঠা উৎসবে এসে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। এখানে এসে নতুন নতুন পিঠা দেখতে পেলাম ও খেয়ে খুব মজা পেয়েছি। আরেক দর্শনার্থী কাজী মিম আক্তার বলেন, শীতকাল আমাদের অনেকের কাছেই প্রিয়। বাঙালি ঐতিহ্যগত কারণে এ ঋতুর সঙ্গে পিঠার অন্যরকম মিল রয়েছে। পিঠা উৎসবের মাধ্যমে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের মিলনমেলা তৈরি হয়েছে।
টাঙ্গাইল জেলা শিল্পকলা একাডেমীর কালচারাল অফিসার এরশাদ হাসান বলেন, হারিয়ে যাওয়া বাঙালীর পিঠা পুলির ঐতিহ্য নতুন প্রজন্মকে তুলে ধরতে এমন আয়োজন করা হয়েছে। উৎসবে অংশগ্রহণ করা সেরা ৩ জনকে পুরষ্কার দেয়া হবে।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ওলিউজ্জামান বলেন, গ্রামবাংলার এ উৎসব প্রত্যন্ত এলাকায় পৌঁছে দেয়া হবে। ভবিষ্যতে এমন আয়োজন করা হবে।
উল্লেখ্য, আগামী ২ ফেব্রুয়ারি এ পিঠা উৎসব শেষ হবে।