স্টাফ রিপোর্টার ॥
টাঙ্গাইলে মানবসেবা হাসপাতালে ভুল চিকিৎসা ও এক গৃহবধূর জরায়ু কেটে ফেলায় মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই গৃহবধুর মৃত্যু হয়। পরে শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে নিহত গৃহবধুর মরদেহ ও একদিনের শিশু সন্তান নিয়ে মানববন্ধন করে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। এ সময় তারা মানবসেবা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং ডা: খন্দকার মনিরার শাস্তির দাবি জানান।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে গৃহবধূ সাবিনাকে সিজার করার জন্য শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মানবসেবা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওইদিন বিকেলে ডাঃ খন্দকার মনিরা গৃহবধূর সিজার করার সময় ভুল করে জরায়ু কেটে ফেলেন। বিষয়টি স্বজনদের না জানিয়ে তড়িঘড়ি করে এ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে দ্রুত ঢাকা পাঠানোর ব্যবস্থা করে স্বজনদের চলে যেতে বলেন। রাতে ঢাকায় নেওয়ার পর স্বজনরা জানতে পারেন সাবিনার জরায়ু কেটে ফেলা হয়েছে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ খন্দকার মনিরার শাস্তির দাবিতে স্থানীয় এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে হাসপাতাল ঘেরাও করে। এ সময় হাসপাতালের স্টাফদের সাথে বিক্ষোভকারীদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এরপর হাসপাতালের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
এদিকে শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) গৃহবধু হত্যার বিচার ও জড়িতদের শাস্তির দাবিতে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে গৃহবধুর মরদেহ ও একদিনের শিশু সন্তান নিয়ে মানববন্ধন করেন বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ও নিহতের স্বজনরা।
ক্লিনিক বন্ধ থাকায় অভিযুক্ত চিকিৎসক ও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের বক্তব্য নেয়া যায়নি।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল জেলা ক্লিনিক মালিক সমিতির সভাপতি শিবলী সাদিক জানান, আমরা ভুক্তভোগী পরিবারকে সহায়তা নিয়ে দেয়ার আশ্বাস দিয়েছিলাম। তবে ওই পরিবার সেই আশ্বাস উপেক্ষা করে ক্লিনিকে হামলা ও ভাংচুর চালিয়েছে। এছাড়াও তারা বিচার দাবিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনায় মানববন্ধন করেছে। বিষয়টি এখন আমাদের সমাধানের পর্যায়ে নেই।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইলের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা: আজিজুল হক জানান, ভুল চিকিৎসায় গৃহবধু মৃত্যুর কোন অভিযোগ পায়নি। পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
