মধুপুরে জনসংযোগ করছেন চলেশ রিছিলের সহধর্মিণী সন্ধ্যা সিমসাং

টাঙ্গাইল মধুপুর রাজনীতি

হাবিবুর রহমান, মধুপুর ॥
টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে চান প্রয়াত চলেশ রিছিলের সহধর্মিণী মিসেস সন্ধ্যা সিমসাং। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তিনি প্রথমে তার বাড়িতে দলীয় ও এলাকার নিজস্ব জাতি গোষ্ঠীর লোকদের নিয়ে মত বিনিময় সভা করে নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন। পাহাড়ি এলাকার বিভিন্ন গ্রামে পাড়া মহল্লায় গিয়ে জনসংযোগে ব্যন্ত সময় পার করছেন। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত যোগ দিচ্ছেন নানা সামাজিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ভোটার দলীয় নেতা কর্মী সর্মথক ও সাধারণ ভোটারদের মন জয় করতে জনসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন। ভোটার সর্মথন পেতে যোগ দিচ্ছেন বিভিন্ন ধর্মীয় সামাজিক আচার অনুষ্ঠানে। বিয়ে সাধি গারোদের সম্প্রদায়ের শ্রাদ্ধ থেকে শুরু বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে অংশ গ্রহনের মধ্যে দিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
গত এক মাস ধরে তিনি নির্বাচনী মাঠে সময় দিচ্ছেন। তার স্বামী প্রয়াত আদিবাসী নেতা চলেশ রিছিলের সহধর্মিণী হিসেবে সকলের কাছে পরিচিত। চলেশ রিছিল ছিলেন মধুপুর লাল মাটির পাহাড়িযা এলাকার গারো সম্প্রদায় খেকে শুরু করে অন্যান্য জাতি গোষ্ঠীর লোক কাছে একজন পরিচিত ব্যক্তি। পাহাড়িরা এলাকায় তিনি বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক রাজনৈতিক পরিমন্ডলে একজন প্রাণবন্ত ব্যক্তি। টেলকি ট্রাক ড্রাইভার্স ইউনিয়নে দীর্ঘ দিন নেতৃত্ব দিয়েছেন। শালিশ দরবার থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগের রাজনৈতির সাথে ছিলেন সক্রিয়। তার সহধর্মিণী হিসেবে সন্ধ্যা সিমসাং কাজ করতে চান।
সন্ধ্যা সিমসাং এর বাড়িতে গত কয়েক দিন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচনকে কেন্দ্র আয়োজিত মতবিনিময় সভা করেছেন। মত বিনিময় সভায এলাকার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বেরিবাইদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মাস্টার, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান, বেরিবাইদ ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার আছর আলী, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা তারা মিয়া, যুবলীগের নেতা সেলিম উদ্দিন,ছাত্রলীগ নেতা সানি মারাক, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের এবাদুর রহমানসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকের উপস্থিত ছিলেন।
সন্ধ্যা সিমসাং বলেন, আমার স্বামী আজ প্রয়াত। তিনি এ লাকার মানুষের জন্য কাজ করতেন। এখন ছেলে মেয়েরা বড় হয়ে গেছে। এখন যে কয়টা দিন বেঁচে আছি। জনগনের মধ্যে বেঁচে থাকতে চান তিনি। জনগনের সেবার করার মানসিকতা নিয়ে তিনি একটি নারী বান্ধব উপজেলা পরিষদ গঠনের মধ্যে স্মার্ট আধুনিক উপজেলা পরিষদ গড়তে আসন্ন নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচন করবেন। তিনি সব সময় আওয়ামী লীগের দলীয় মিটিং মিছিল সভা সেমিনারে সক্রিয় অংশ গ্রহন করে দলের পক্ষে কাজ করেছেন।
তিনি নির্বাচিত হয়ে এলাকার রান্তাঘাট ব্রীজ কালভার্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজ করে একটি নারী বান্ধব উপজেলা পরিষদ গড়তে চান তিনি।

 

২০১ Views

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *