মাশরুম চাষে স্বামী-স্ত্রীর বাজিমাত

কৃষি টাঙ্গাইল বাসাইল লিড নিউজ

আরিফুল ইসলাম, বাসাইল ॥
স্বপ্নকে লালন করে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন স্বামী-স্ত্রী। মাশরুম চাষ করে স্বপ্ন বুনেছেন তাঁরা। ২০২১ সালে শুরু করেন মাশরুম চাষ।মাশরুম চাষ করে ভালোই সংসার চলছে তাদের। বলছিলাম টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার রাশড়া গ্রামের প্রবাসী সাইফুল ইসলাম ও তার স্ত্রী লাভলী আক্তারের কথা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সাইফুল ইসলাম নিজ বাড়িতে শুরু করেছেন মাশরুমের খামার। তিনি মাশরুমের খামারের নাম দিয়েছেন সিনথিয়া মাশরুম খামার। স্থানীয় এলাকার করিম বাজারে দিয়েছেন সিনথিয়া মাশরুম ফাস্ট ফুডের দোকান। প্রবাসী সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি ইউটিউবে মাশরুম চাষের ভিডিও দেখি। স্বপ্ন দেখতে শুরু করি মাশরুম চাষের প্রশিক্ষণ কিভাবে নেওয়া যায়। আমি জানতে পারি সাভার জাতীয় মাশরুম উন্নয়ন ইন্সটিটিউটে মাশরুমের উপর প্রশিক্ষণ নেওয়া যায়। পরে সাভার জাতীয় মাশরুম উন্নয়ন ইন্সটিটিউটে মাশরুম চাষের উপর প্রশিক্ষণ নেয়। মহামারি করোনার সময় বাড়িতে থেকেই মোবাইলে অনলাইন প্রশিক্ষণে ভার্চুয়াল প্লাটফর্ম জুম আইডির মাধ্যমে ১০ দিনের প্রশিক্ষণ শেষ করি।
সাইফুল ইসলাম আরও বলেন, ৭ দিনের অভিজ্ঞতা অর্জন করি। সাভার থেকে বীজ নিয়ে এসে বাড়িতে মাশরুম চাষ শুরু করি। তিন মাস পর থেকে মাশরুম আসা শুরু করে।করোনার সময় আমি ঋণগ্রস্থ ছিলাম। সৌদি আরবে যে কোম্পানিতে ছিলাম সেই কোম্পানিতে পুনরায় বিদেশ চলে যায়। এখন দেশে চলে এসেছি। পুনরায় আমি আর আমার স্ত্রী মাশরুম চাষ করছি। প্রতিদিন ৪-৫ কেজি মাশরুম পাচ্ছি। আমার মাশরুম খামারে ৩০০টি খড়ের স্পন প্যাকেট রয়েছে। প্রতিটি প্যাকেট থেকে ২০০-২৫০ গ্রাম মাশরুম পাচ্ছি। প্রতিটি প্যাকেটে খরচ হয়েছে ৫০-৬০ টাকা।
প্রবাসী সাইফুল ইসলামের স্ত্রী লাভলী আক্তার বলেন, আমরা স্বামী-স্ত্রী দুইজন মিলে মাশরুম চাষ করতেছি। মাশরুম চাষ খুবই লাভজনক। আমাদের মাশরুম খামারে ৩০০ টি খড়ের স্পন প্যাকেট রয়েছে। প্রতিদিন ৪-৫ কেজি মাশরুম তোলা যায়। আমাদের ফাস্ট ফুডের দোকানে মাশরুমের চপ বিক্রি করা হয়। দোকানে মাশরুমের চপ ভালোই বিক্রি হয়। প্রতিদিন ২ হাজার থেকে তিন হাজার টাকার মতো বিক্রি হয়। আমাদের সংসার ভালোই চলে।

 

২৮৪ Views

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *