স্টাফ রিপোর্টার ॥
দ্বাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত ৫০ নারী আসনের মধ্যে মনোনয়ন পাওয়ার জন্য টাঙ্গাইলের ৮টি আসনের এমপি প্রত্যাশীরা মাঠে নেমে পড়েছেন। এমপি প্রত্যাশী নারীদের মধ্যে আছেন মহিলা লীগ, যুব মহিলা লীগ, ছাত্রলীগের সাবেক নেত্রী, বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নারী নেত্রী, সংস্কৃতি অঙ্গনের ছাড়াও কর্মজীবীরাও রয়েছেন। আওয়ামী লীগের কোটায় সংরক্ষিত নারী আসনে এমপি হতে সরকারের নীতিনির্ধারক ও প্রভাবশালী মহলে দেন-দরবার ও দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন এমপি প্রত্যাশীরা। এদিকে সরকারের নীতিনির্ধারক মহল থেকে সংরক্ষিত আসনের এমপি প্রত্যাশীদের দল ও দেশের জন্য ত্যাগ তিতিক্ষা এবং অতীত ও বর্তমানের ইতিহাসসহ জীবন-বৃত্তান্তের খোঁজখবর করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, একাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত ৫০ নারী আসনের মধ্যে টাঙ্গাইল জেলা ৮টি আসনের মধ্যে ২জন নারী এমপি মনোনিত হয়েছিলেন। টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসন থেকে অপরাজিতা হক এবং টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসন থেকে মমতা হেনা লাভলী। এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাবেন ৩৭ নারী এমপি। এছাড়া স্বতন্ত্রদের থেকেও ১১ জন নারী এমপি মনোনিত হবেন সরকার দলীয় থেকেই। এতে সংরক্ষিত মোট ৪৮ নারী আসনের মধ্যে এমপি হতে দৌড়ঝাপ শুরু হয়ে গেছে টাঙ্গাইলের নারী নেত্রীদের। এরই মধ্যে টাঙ্গাইলের নারী নেত্রীদের মধ্যে এমপি হওয়ার আগ্রহ বেশি দেখা যাচ্ছে। জেলার নারী এমপি প্রার্থীর সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরি করে তাদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ সংরক্ষিত আসনের এমপি নির্বাচনের প্রক্রিয়া ইতোমধ্যেই শুরু করেছে। এবার কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ, মহিলা লীগ, যুব মহিলা লীগ, মহিলা শ্রমিক লীগ, কৃষক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেত্রীরাও সংরক্ষিত আসনে বসতে বেশি আগ্রহীর তালিকায় আছেন। এ ছাড়া মনোনয়নপ্রত্যাশী হয়ে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন পেশাজীবী, সংস্কৃতি অঙ্গনের তারকাখ্যাতি সম্পন্ন নারীরা।
গোয়েন্দা সংস্থার সূত্র জানায়, সংরক্ষিত আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচনের প্রাথমিক কাজ হিসেবে আওয়ামী লীগ ইতোমধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীদের বিষয়ে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে গোয়েন্দা সংস্থাকে। এ বিষয়ে একটি তালিকাও প্রায় চূড়ান্ত হওয়ার পথে। এই সংক্ষিপ্ত তালিকায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নারী নেত্রীরা ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার নারীকেও রাখা হয়েছে। সংক্ষিপ্ত তালিকায় থাকা নারীদের বিষয়ে আরও তথ্য সংগ্রহ এবং যাচাই বাছাইয়ের জন্য তথ্য সংগ্রহ করছেন গোয়েন্দারা। এসব তথ্য আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করা হবে। গোয়েন্দা তথ্য চুলচেরা বিশ্লেষণ করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গোয়েন্দা সংস্থার সূত্রে জানা গেছে, সংরক্ষিত আসনে এমপি প্রত্যাশীদের অতীত ও সাম্প্রতিক সময়ে তাদের রাজনৈতিক ভূমিকা এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের ভূমিকা। সংরক্ষিত কোটায় মনোনয়নের বিষয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিলেও আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ডের সভা ডাকবেন। তবে এবার সংরক্ষিত আসনে মনোনয়নের ক্ষেত্রে গোয়েন্দা তথ্যকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে।