বিভাস কৃষ্ণ চৌধুরী ॥
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক (ডিসি) কায়ছারুল ইসলামের সফল উদ্যোগে “টাঙ্গাইল শাড়ি” জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেলো। ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে টাঙ্গাইল শাড়িকে স্বীকৃতি দিল শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি)। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) এ বিষয়ে গেজেট প্রকাশিত হবে বলে সাংবাদিকদের জানান শিল্প সচিব।
ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় টাঙ্গাইল শাড়িকে নিজস্ব জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার এক সপ্তাহ পর বাংলাদেশের জিআই পণ্য হিসেবে টাঙ্গাইল শাড়িকে স্বীকৃতি দিল শিল্প মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ই-মেইলের মাধ্যমে শিল্প মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে আবেদন করেন টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসন। আবেদনের একদিন পরেই গত (৭ ফেব্রুয়ারি) জিআই পণ্য হিসেবে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর স্বীকৃতি দিলো পণ্যটিকে।
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক কায়ছারুল ইসলাম বলেন, টাঙ্গাইল শাড়ি যে কোনো বিচারে বাংলাদেশের জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার দাবিদার। টাঙ্গাইল নামধারি যে কোনো পণ্যই এদেশের পণ্য। গত তিন মাস ধরে টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির জন্য ডকুমেন্টেশন কার্যক্রম চলছিলো। শাড়িটির আড়াইশ বছরের ইতিহাসের তথ্যাদি ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মানুষের জীবন-জীবিকার তথ্য সংগ্রহ করে আবেদন করা হয়েছে।
সম্প্রতি টাঙ্গাইল শাড়িকে নিজস্ব জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়। এরপর ভারতের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী তাঁতের শাড়িকে নিজেদের পণ্য দাবি করা হয়।
এরপরই বাংলাদেশে শুরু হয় নানা ধরনের সমালোচনা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও অনেকেই প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। ইতিমধ্যে ভারতের এহেন কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়েছে টাঙ্গাইলের বাসিন্দারা।
টাঙ্গাইলের শাড়ির জিআই পেতে তাঁত সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, সময়মতো বাংলাদেশ ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যের আবেদন না করায় এমন ঘটনা ঘটেছে।
প্রায় ২৫০ বছরের ঐতিহ্য টাঙ্গাইল শাড়ি বোনা হয় টাঙ্গাইল সদর উপজেলার পোড়াবাড়ি, দেলদুয়ার উপজেলার পাথরাইল ও কালিহাতীর বল্লা এলাকায়। এই পেশার সঙ্গে জেলাটির প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষ যুক্ত রয়েছেন।