কোটি প্রেমিক যুগলের পরম আকাঙ্ক্ষিত একটি দিন

টাঙ্গাইল টাঙ্গাইল সদর টাঙ্গাইল স্পেশাল বিনোদন লিড নিউজ

স্টাফ রিপোর্টার ॥
আজ (১৪ ফেব্রুয়ারি) “বিশ্ব ভালবাসা দিবস” বা “ভ্যালেন্টাইন ডে”। টাঙ্গাইলসহ সারা বিশ্বের কোটি কোটি প্রেমিক যুগল এর জন্য পরম আকাঙ্ক্ষিত একটি দিন। দিনটি শুধুই ভালোবাসার। হৃদয়ের সঙ্গে হৃদয়ের মেলবন্ধনের দিন। প্রতি বছর (১৪ ফেব্রুয়ারি) একযোগে সারা বিশ্বে এই দিবসটি পালন করা হয়।
পৃথিবীতে যতগুলো বিশেষ দিবস রয়েছে তার মধ্যে তরুণ-তরুণীদের নিকট এই দিনটি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। প্রিয় মানুষটিকে আরো বেশি কাছে পাওয়ার, আরো বেশি ভালোবাসার জানার ও বোঝার দিন। প্রেমিক-প্রেমিকারা মন খুলে বলবে তাদের হৃদয়ের কথা। প্রেমিক-প্রেমিকারা এই দিনটিকে ঘিরে সারা বছর জুড়েই কল্পনার জগৎ সাজাতে থাকেন। সকল বাধা-বিপত্তিকে পাশ কাটিয়ে সবাই চায় এই বিশেষ দিবসের কিছুটা সময় প্রিয় মানুষের সান্নিধ্যে কাটাতে। মূলত তরুণ-তরুণীদের মধ্যে দিবসটি ঘিরে উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশে ভালোবাসা দিবস পালনের রীতি খুব বেশি দিনের নয়।
বিশ্ব ভালোবাসা দিবস বা ভ্যালেন্টাইন ডে পালনের রীতিটা মূলত ইউরোপীয় ঘরানার। ভালোবাসার গল্পটি শুরু হয়েছিলো সেই ২৬৯ খ্রিস্টাব্দে। একজন রোমান ক্যাথলিক ধর্মযাজক সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের কথা। রোমের চিকিৎসক তরুণ যাজক সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের চিকিৎসায় দৃষ্টি ফিরে পেয়েছিলো নগর জেলারের দুহিতা। পরে দু’জনের মধ্যে মন দেয়া-নেয়া হয়। সেই থেকে জন্ম নিয়েছিলো তাদের ভালবাসার অমরগাথাঁ। ভালবাসার অপরাধে সেন্ট ভ্যালেন্টাইনকে ফাঁসিতে ঝুলতে হয় ফেব্রুয়ারির এই ১৪ তারিখে। তারপর এই ভালোবাসার স্বীকৃতি পেতে দুই শতাব্দী নীরবে-নিভৃতে পালন করতে হয়েছে (১৪ ফেব্রুয়ারিকে)। ৪৯৬ খ্রিস্টাব্দে রোমের রাজা পপ জেলুসিয়াস এই দিনটিকে ভ্যালেন্টাইন দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন। গ্রিক ও রোমান উপকথার মতই ভালোবাসা দিবসের উৎপত্তি নিয়ে আরো গল্প-কাহিনী ছড়িয়ে আছে ভুবনজুড়ে। কে এই ভ্যালেন্টাইন তাও রহস্যাবৃত। ক্যাথলিক এনসাইক্লোপিডিয়া অনুসারে আমরা তিনজন সেন্ট ভ্যালেন্টাইন বা ভ্যালেন্টিনাসের সন্ধান পাই। তারা সবাই (১৪ ফেব্রুয়ারিতে) আত্মদান করেন।
উনিশ শতকেই উত্তর আমেরিকায় ভ্যালেন্টাইন ডে পালিত হয় ব্রিটিশ অভিবাসীদের মাধ্যমে। যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক হারে ভ্যালেন্টাইন কার্ড বিনিময় শুরু হয় ১৮৪৭ সালে ম্যাসাসুয়েটসের অরকেস্টারে। দুটি প্রাচীন রোমান প্রথা থেকে এই উৎসবের সূত্রপাত। চীনে ভালোবাসা প্রকাশের সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে। ভ্যালেন্টাইন ডে পালনের আগে তারা বছরের দুই দিন পালন করতো ভালোবাসা দিবস। এখন তো চীনে ব্যাপক হারে দিবসটি পালিত হয়। পশ্চিমা ধাঁচে (১৪ ফেব্রুয়ারিই) তারা ভালোবাসা দিবস পালন করে। ইউরোপের সব দেশেই মহাসমারোহে তরুণ-তরুণীরা এ দিবস পালন করে। মার্কিনিদের মধ্যে ভ্যালেন্টাইন ডে পালনের হার বেশি। জরিপে দেখা গেছে, চার মার্কিনির মধ্যে তিনজনই দিবসটি পালন করে। ভারতেও ভালোবাসা দিবস পালিত হয় উৎসবের আমেজে। তবে আমাদের দেশের মতো ভারতেও তরুণ-তরুণীরা এ দিবস পালন করে বেশি।

৩৩৮ Views

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *